Monday, June 30, 2014

কাঁঠালের গুনাবলী

কাঁঠালকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পনস বলা হয়। অগ্রহয়ণ ও পৌষ মাসে এই গাছের ফুল ধরে। তারপর ফল হয়, জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে ফল পাকে। কাঁঠালের সারা গায়ে কাটা হয়। কাঁঠালের সুগন্ধ বের হয় পাকলে। কাঁঠালের পাতা মূল, কাঠ ও ফল ওষুধে ব্যবহার করা হয়।
কাঁঠালের গুনাবলী : নিচে কাঠালের গুনাবলী আলোচনা করা হল।
কাঁঠাল




  1. অরুচিতে: পাকা কাঁঠালের রস 2 থেকে 3 চা-চামচ নিয়ে ওর সাথে সামান্য চিনি এবং অল্প মরিচের গুড়া মিশিয়ে কয়েকদিন খেলে অরুচি থাকবে না। চিনি না দিয়ে 4-5 চামচ দুধ দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। 
  2. দূর্বলতা দেখা দিলে: অনেক সময় ক্ষয়জনিত কোন কারণে দূর্বলতা দেখা দেয়। যে কোন কারণে দূর্বলতা দেখা দিলে, কাঠালের রস নিংড়ে 5 থেকে 6 চা-চামচ করে সকালে ও বিকালে কয়েকদিন খেলে দূর্বলতা কেটে যাবে। 
  3. পেশীর বাতে: কাঁঠালের ভিতরের শক্ত দন্ডটি অর্থাত যাকে আমরা কাঁঠালের ভূতি বলি ‍ও ফেলে দিই। সেটি ছোট ছোট করে কেটে 4-5 গ্রাম মাত্রায় নিয়ে দুই কাপ পানি দিয়ে সিদ্ধ করুন। 2-3 কাপ অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে ছেকে নিন। এবার ওটা 4 ভাগ করে সারাদিনে চারবার খেলে উপকার হয়। 
এখানে কাঁঠালের গুনাবলী খুব সংক্ষেপে আলোচনা করা হল। কাঠালের পরিচয় ও এর জাত সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন এখানে। 

Thursday, June 12, 2014

আমের গুনাবলী

এই গ্রীষ্মের দিনে আম খেতে কতই না মজা। আরো মজা হতো যদি আমরা সকলেই আম এর গুনাবলী সম্পর্কে জানতাম। আম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। আজ আপনাদের আম এর গুনাবলী সম্পর্কে কিছু তথ্য দিব আশা করি সকলের কাজে লাগবে।


আম এমনিতেই ঠান্ডা। তবে বর্তমানে কৃত্রিমভাবে অর্থ্যাৎ কাররবাইড দ্বারা সব রকম ফল পাকানো হয় বলে, ঠান্ডা কথাটা বলা চলে না। পাকা আম খেলে ফোড়া হয় না। কিন্তু আমরা বাজারে যে আম দেখি সেটা নামেই, আসলে কাচা আমকেই জোর করে পাকানো হয়। সেজন্য যাদের দেহে পিত্তবাহুল্য, তারা এ আম খেলে খুব স্বাভাবিক কারণেই ফোড় হবে দেহে। কিন্তু পৃকৃত পাকা আম খেলে তা হয় না।



আমের গুনাবলী : আমের গুনাবলী নিচে আলোচনা করা হল।

  1. বমিভাব হলে: প্রায়ই যাদের বমি-বমি ভাব দেখা যায়, তারা তিন থেকে চারটি আমপাতা পানিতে সিদ্ধ করে সে পানিটুকু সারাদিনে একটু একটু করে খাবেন।

  2. আমাশয় রোগে: কচি আমপাতা ও কচি জামপাতার রস এক সাথে মিশিয়ে 2-3 চা-চাম একটু গরম করে খান। আমাশয় আরোগ্য হবে।

  3. রক্ত আমাশয়ে: আম গাছের ছাল পরিষ্কার করে ঘুয়ে রস বের করে সে রস এক বা দু চা-চামচ আধাপোয়া ছাগরের দুধের সাথে মিশিয়ে খাবেন। যদি ইচ্ছে করেন একটু চিনি বা মধু মিশিয়ে নিবেন।

  4. পা-ফাটা রোাগে: যাদের পায়ের গোড়ালি ফাটে বিশেষত শীতকালে, তারা ফাটা শুরু হলেই সে ফাটায় আম গাছের আঠা দিন। আবার এর সাথে যদি কিছু ধুনার ‍গুড়া মিশিয়ে নেন, তাহলে আরও ভালো হয়।

  5. অকালে চুল পাকা শুরু হলে: আমের কুশি 5-6 গ্রাম পরিমাণ নিয়ে থেতো করে ও 2-3টি আমলকী একটু থেতো করে 10-12 চামচ পানিতে ভিজিয়ে লোহার পাত্রে  5-6 ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর ছেকে নিয়ে সে পানি চুলে লাগালে চুল পাকা কমে যাবে।

  6. অকালে চুল পাকা শুরু হলে: আমের কুশি অর্থ্যাৎ কচি আমের আঠির শাষ একটু থেতো করে পানিতে 5-6 ঘন্টা ভিজিয়ে ছেকে নিন। তারপর সে পানি শুকনা চুলের গোড়ায় ঘাষে লাগালে চুল উঠা অনেক  কমে যাবে। মাথায় কিন্তু তেল মাখা চলবে না।

উপরে আম এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু গুনাবলী আলোচনা করা হয়েছে। আম এর আরো অনেক গুনাবলী রয়েছে। আম সম্পর্কে

আরো জানতে ক্লিক করুন ।

Saturday, May 24, 2014

অটোরান ভাইরাস থেকে কম্পিউটারকে সুরক্ষা রাখুন

কম্পিউটারে অটোরান ভাইরাস প্রবেশ করে অনেক ঝামেলা করে। আর এই অটোরান ভাইরাস প্রবেশ করে বিভিন্ন removable drives থেকে।  তাই এই অটোরান ভাইরাস যেন আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ না করে সেজন্য ছোট একটু সফওয্যার ডাউনলোড করে এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন খুব সহজেই।  এই সফওয়্যার টি ইনষ্টল করার পর আপনাকে
Disables AutoRun on removable drives অপশনে ক্লিক করে apply তে ক্লিক করলে অটোরান বদ্ধ হয়ে যাবে। এ থেকে আপনি অটোরান ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবেন। এ সফটওয্যারটি দিয়ে Disables AutoRun on drives of unknown type , Disables AutoRun on removable drives, Disables AutoRun on fixed drives , Disables AutoRun on network drives, Disables AutoRun on CD-ROM drives, Disables AutoRun on RAM disks, Disables AutoRun on all kinds of drives করতে পারবেন। দেরী না করে মাত্র 524 কেবির সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করে নিন।

ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে।

 

Keep your computer safe from AutoRun viruses

Autorun virus enters the computer too much trouble . The virus enters the Run from different removable drives . Autorun virus that enters your computer not so small that you can solve this problem easily by downloading a software.

After you install the Software does
Disables AutoRun on removable drives click on apply and click Run will be closed . From this you will get released from Autorun Virus . With this software Disables AutoRun on drives of unknown type, Disables AutoRun on removable drives, Disables AutoRun on fixed drives, Disables AutoRun on network drives, Disables AutoRun on CD-ROM drives, Disables AutoRun on RAM disks, Disables AutoRun on all kinds of drives can . Take just a 524kb download it .


 

Click here to download .

Monday, May 12, 2014

ইন্টারনেট ব্রাউজারের শর্টকাট জেনে নিন

ইন্টারনেট ব্রাউজারের শর্টকাট কী আছে অনেক । আমি আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্টকাট কি নিচে দিচ্ছি আশা করি সকলে উপকার হবে।



  •  কার্সর সরিয়ে address bar এ নিয়ে যাওয়ার জন্য ক্লিক করুন alt+D

  • জুম করা জন্য ক্লিক করুন ctrl+ or - এবং জুম রিসেট করার জন্য ক্লিক করুন ctrl + 0

  • পিছনের  পেজ ফিরে যেতে ক্লিক করুন backspace key অথবা alt key + left arrow

  • রিলোড অথবা রিফেরেস করতে ক্লিক করুন F5

  • পেজ কে ফুল স্কিন করতে ক্লিক করুন F11 এবং ফিরে যেতেও ক্লিক করুন F11

  • কোন পেজ কে বা সাইটকে বুকমার্ক করতে ক্লিক করুন crtl + B

  • কোন কিছু খুজে পেতে ক্লিক করুন Crtl + F

এছাড়াও আরো কে কী আছে যা আপনারা নিজে নিজে চেষ্টা করলে বের হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

Sunday, April 20, 2014

হলুদ দিয়ে রোগের চিকিৎসা

বিভিন্ন কাজে আমারা হলুদ ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে রান্নার কাজে হলুদ এর চাহিদার শেষ নেই। কিন্তু অনেকেই জানিনা হলুদ দিয়ে বিভিন্ন চিকিৎসা হয়। উপকার হয় অনেক রোগের। আসুন আজ আপনাদের হলুদ এর গুনাবলী নিয়ে আলোচনা করি। হলুদ এর পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
বিভিন্ন চিকিৎসায় হলুদ এর ব্যবহার :
নিচে হলুদ এর গুনাবলী আলোচনা করা হল।

  1. মুখের লাবণ্য বাড়াতে : মুখের লাবণ্য বাড়াতে হলুদ এর জবাব নেই। কাঁচা হলুদ ও ভিজানো মসুর ডাল একত্রে বেটে তার সাথে দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখলে, মুখের লাবণ্য বৃদ্ধি পায়।

  2. দেহের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে : আগে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের তেল-হলুদ মাখিয়ে গোসল করানোর প্রথা ছিল। এতে দেহের উজ্জলতা বাড়ে। খোসপাসড়া চুলকানি প্রভৃতি চর্মরোগও হয় না এবং উজ্জ্বলতা বাড়ে।

  3. ক্রিমি রোগে : বয়স অনুযায়ী 15 তেকে 20 ফোটা কাচা হলুদ এর রস ছেকে তাতে অল্প লবণ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে, ক্রিমি নাশ হয়।

  4. গলা ধরে গেলে : চিৎকার, বক্তৃতা বা গান, যে কোনও কারণে গলা বসে গেলে হলুদগুড়া 2 গ্রাম পরিমাণে নিয়ে পানি মিশিয়ে তাতে চিনি দিয়ে শরবত করে একটু গরম হলুদে খেলে খুব উপকার হয়।

  5. তোতলামিতে : তাড়াতাড়ি কথা বলার অভ্যাসের জন্য যদি তোতলামি দেখা যায়, তাহলে কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুড়া করে 2 থেকে 3 গ্রাম পরিমাণে নিয়ে 1 চা-চামচ গাওয়া ঘিয়ে একটু ভেজে সেটাকে সারা দিনে 2-3 বার চেটে খাবেন, তোতলামি থাকবে না।

  6. লিভারের দোষ : লিভারের দোষ হলে সারাদেহে ফ্যাকাশে দেখায়, এ অবস্থা দেখা দিলে, শিশুদের  ক্ষেত্রে 5 থেকে 10 ফোটা পূর্ণ বয়স্কদের জন্য 1 চা-চামচ কাচা হলুদের রস একটু চিনি বা মধু মিশিয়ে নিয়মিত কিচুদিন খাবেন, লিভারের দোষ থাকবে না।

  7. মচকে গেলে : দেহেরে কোনও স্থান মচকে গিয়ে ব্যথা হলে বা ফুললে লবণ হলুদ আর চূর্ণ একসাথে মিশিয়ে গরম করে সেখানে লাগালে ব্যথা ও ফুলা কমে যায়।

  8. অ্যালার্জিতে : কোনও খাদ্য খেলে যদি দেহে অ্যালার্জি দেখা দেয অথ্যাৎ দেহ চুলকাতে থাকে, স্থানে-স্থানে লাল হয়ে ফুলে ওঠে ও  চাকা চাকা হয়ে যায়, তাহলে কাচা হলুদ শুকনা করে তার চার চামচ চূর্ণ, নিমপাতা চুর্ণ 1 চামচ ও শুকনা আমলকী চূর্ণ 3 চামচ এক সাথে মিশিয়ে একটি শিশিতে রেখে দিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এ ছুর্ণ মিশ্রণ 1 গ্রাম মাত্রায় পানিসহ খেলে অ্যালার্জি কমবে।

এছাড়াও হলুদের আরো অনেক গুনাবলী আছে। এখানে প্রয়োজনীয় কিছু গুনাবলী আলোচনা করা হল। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।

Sunday, April 13, 2014

বীর্য গাঢ় করার গাছান ঔষধ

বীর্য পাতলা  হলে যৌন মিলনের সময় খুব দ্রুত বীর্য পাত হয়। আর এতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনমালিণ্য সৃষ্টি হয়।  পুরুষদের মধ্যে প্রায় বেশি ভাগই বীর্য গাঢ় করার কথা ভাবে। ভাবে কিভাবে যৌন মিলন কে আরো দীর্ঘ করা যায়। আজ আপনারদের কে আমি কিছু গাছ গাছালীর গুনাবলীর নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনাদের কে এ সমস্যা থেকে রেহাই দিবে।

বীর্য গাঢ় : নিচে বীর্য গাঢ় করার জন্য বিভিন্ন গাছ-গাছালীর গুনাবলী আলোচনা করা হল।

কলমি শাক : কলমি শাক আমরা প্রায় খাই। এ শাকের গুনাবলী অনেক। কলমি শাকের রস 3 চামচ এবং অশ্বদন্ধার মূলের গুড়া (কবিরাজী দোকানে পাওয়া যায়) দেড় গ্রাম গরুর  দুধ এক কাপ দুধে মিশিয়ে রাতে শোবার সময় একবার করে খেলে বীর্য গাঢ় হবে এবং স্বপ্নদোষও বন্ধ হবে।

রাম তুলসী: রামতুলসী পাতার রস ধ্বজভঙ্গের খুবই উপকারী। মাত্র দুই সপ্তাহ নিয়মিত খেরে রোগীর স্বাভাবিক যৌন ক্ষমতা ফিরে আসে।

বেল : যৌবন উত্তেজনা উম্মচিত হয়ে তরুন যুবক কু-পথে চালিত হয়ে শুক্রক্ষয় করে থাকে। তিন থেকে চারটি বেলপাতা ভালোভাবে বেটে তার রস আধাকাপ ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে কিছুদিন খেলে শরীরে তীব্র কাম উত্তেজনা হ্রাস পায়। তবে একটা দীর্ঘদিন খাওয়া মোটেই উচিত নয়। দম্পত্য জীবনে বীপরীত ফল হতে পারে।

বীর্য গাঢ় করার গাছান ঔষুধ এর ভিডিটি দেখতে পারেন।


আলকুশী : যৌবনে নানা প্রকার কু-অভ্যাসের ফলে অতিরিক্ত শুক্র ক্ষয়ের জন্যে মহামূল্যবান বীর্য তরল হয়ে যায়। আলকুশীর পাকা বীজ চার থেকে পাচটি আগের রাতে এক কাপ গরম দুধে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে বীজগুলোর কোসা ছাড়িয়ে শিলে মিহি করে বেটে নিয়ে সামান্য গাওয়া গিয়ে বাটা বীজকে ভেজে নেয়া দরকার। তবে ভাজাটা খুব কড়াভাবে ভাজা চলবে না। ঠান্ডা হলে েএক চামচ মিসরীগুড়া অথবা সমপরিমান চিনি মিশিয়ে দিনে একবার করে খেলে তরল বীর্য ঘন হয়ে যাবে। অন্তত বিশদিন করে খেয়ে যেতে হবে এবং পথ্য হিসেবে গরুর দুধ 250 মি.লি. থেকে 500 মি.লি ঔষুধ চলাকালীন খেয়ে যেতে হবে।

শতমুলী : দেহে যৌবন আসার সাথে কু-অভ্যাসের ফলে বীর্য পাতলা হয়ে যায়। তাছাড়া কুচিন্তা এবং কুদৃশ্য ঐসব কুভাবনা চিন্তা দৃশ্য দেখে ঘুমের মধ্যে পাতলা বীর্য সহজেই বের হয়ে যায়। শতমূলীর রস 50 মিলি লিটার একটি স্টিলের পাত্রে রেখে তাতে 100 মিলিলিটার গাওয়া ঘিয়ে দিয়ে আচে পাক করতেহবে। এ ঘি তিন গ্রাম আধা কাপ সামান্য গরম দুধের সাথে মিশিয়ে সকালে বিকেলে খেলে বীর্য গাঢ় হবে। তবে নিজেকেও কিছুটা সংযত হতে হবার চেষ্টা করতে হবে।

লতাকস্তুরী : লতাকস্তুরী বীজের গুড়া দেড় গ্রাম, এক গ্লাস ঠান্ডা পানির সাথে খেলে ধীরে ধীরে শুক্র বেড়ে যায়। তবে নিয়মিত একমাস ধরে খাওয়া উচিত। জল-যমানী (ছিলি-হিন্টি) ঃ অনেকের প্রসাবের আগে অথবা পরে প্রস্রাবের সাথে বীর্য বেরিয়ে আসে। এ অবস্থায় এ গাছের পাতা নিয়ে থেতো করে আধাপোয়া পানিতে চটকে ছেকে নিন। তারপর তাতে অল্প চিনি মিশিয়ে শরবত করে খান, বীর্য গাঢ় হবে।

বকুল ফুল : অপুষ্টিজনিত কারণে শুক্রতরল্য দেখা দিলে পাকা বকুল ফলের সিরাপ প্রতিদিন দুপুরে আহারের পর 1 চা-চামচ নিয়ে ঠান্ডা পানি মিশিয়ে 2 থেকে 3 সপ্তাহ খাবেন বীর্য গাঢ় হবে।

রসুন :  শুক্রতারল্য দেখা দিলে সামান্য গরম দুধের সাথে 1 কোয়া বা 2 কোয়া রসুন বাটা মিশিয়ে খাবেন বীর্য গাঢ়।

শিমুল গাছ :  চারা শিমুলগাছের মুল থেতো করে বা েবটে 7 থেকে 10 গ্রাম নিয়ে তার সাথে একটু চিনি মিশিয়ে দু’বেলা খেলে বীর্য গাঢ় হবে। 

     উপরে যে কোন একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়মিত ওষুধ খেলে বীর্য গাঢ় হবে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিলন হবে অটুট, মনে আসবে শান্তি এবং টাকা বাঁচবে বাঁচবে সময়ও। ভালো লাগলে মতামত দিন। এ বিষয়ে আরও জানতে এই পিডিএফ বইটি ডাউনলোড করে পরতে পারে । ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন


Friday, April 4, 2014

বকুল ফুল দিয়ে রোগের চিকিৎসা

বকুল ফুল একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ফুল। বকুল গাছ বহুল পরিচিত। সাধারণত গ্রীষ্ককাল থেকে শুরু করে শরৎকাল পর্যন্ত এ গাছে ফুল ফোটে। দেখতে অনেক সুন্দর। বকুল গাছের ফলের গন্ধ খুবই সুন্দর। বকুল গাছের মূলের ছাল, কাঁচা ও পাকা ফল, ফুল এবং বীজ ওষুধে ব্যবহার করা হয়। বকুল ফুল এর পরিচিতি সম্পর্কে জানতে  আরো ক্লিক করুন।


বকুল দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা :


নিচে বকুল ফুল দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার কথা উল্লেখ করা হল।
পুরাতন আমাশয়ে : আমাশয় পুরাতন হয়ে গেছে, কিছুতেই সারতে চাইছে না। এ অবস্থায় প্রত্যেকদিন 5-6টি করে পাকা বকুল ফলের শাস খাবেন। আমাশয় সেরে যাবে।

শুক্রতারল্যে : অপুষ্টিজনিত কারণে শুক্রতারল্য দেখা দিলে, পাকা বকুল ফলের সিরাপ প্রতিদিন দুপুরে আহারের পর ১ চা-চামচ নিয়ে ঠান্ডা পানি মিশিয়ে 2 থেকে 3 সাপ্তাহ খাবেন। যথেষ্ট উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ।

দাঁত পড়ায় : কাঁচা বকুলের ফল প্রতিদিন 2-3 করে চিবিয়েখেলে কিছুদিনের মধ্যেই দাঁতের গোড়া শক্ত হয় ও দাঁত নড়া ও দাঁত পড়া বন্ধ হয়।

মাথা যন্ত্রণা হলে : শুকনা বকুল ফূল চুর্ণ করে, তাকে আটভাগ করে সে আটভাগের একভাগ ফিটকিরি চুর্ণ মিশিয়ে শিশিতে ভরে রাখুন। মাথার যন্ত্রণা হলে মাঝে মাঝে এর নস্যি নিবেন। মাথা ধরা ও মাথার যন্ত্রণা কমবে।

আশা করি উপরে কথা গুলো অনুসরণ করলে আপনাদের কাজে লাগবে বলে আমি আশাবাদী।

Wednesday, April 2, 2014

রসুন এর গুনাবলী

রসুন সম্পকে কে না জানে। আর রসুনের গুনাবলীর কথা বলে শেষ করা যায় না। রসুন এমন একটি উপাদান যা দ্বারা সব রোগের চিকিৎসা করা যায়। এটি আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। অস্থিচ্যুতি অথ্যাৎ হাড় ভেঙ্গে গেল, হাড় সরে গেলে বিভিন্ন চক্ষুরোগে, ক্রিমি রোগে, চোখের বিভিন্ন রোগে ও রাতকানায়, বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগে, বীর্য সম্বন্ধীয় রোগে, কুষ্ট রোগে, পালা জ্বরে, শ্বাস-শ্বাসজাতীয় রোগে, মুত্র সংক্রান্ত রোগে রসুন খুবেই উপকারী । রসুনের প্রকার ভেদ, বংশ এবং পরিচয় জানতে ক্লিক করুন।

রসুন

বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রসুন এর ব্যবহার :


নিচে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রসুন এর ব্যবহার

 বাতের বেদনায় : যে সকল বাত রোগ মাংসাশ্রিত, সেসব বাতগ্রস্থ রোগীকে রসুন 2 কোয়া বেটে গাওয়া ঘিয়ের সাথে খেতে দিন। ব্যথা- বেদন থাকবে না।

হাপানীতে : হাপানীর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়, দম যেন বদ্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়। সে লোক কে পাচ থেকে সাত টি রসুনের রস এককাপ ঠান্ডা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে দিন। কষ্টটা থাকবে না।

 পুরাতন জ্বরে : এ সব জ্বর বেশি বাড়ে না। ঘুসঘুসে জ্বর হয়, জ্বর কমে গেলেও পুরোপুরি ছেড়ে যায় না। এ সব অবস্থা দেখা দিলে 1 চা-চামচ গাওয়া গিয়ে নিয়ে তাতে পাচ থেকে সাত ফোটা রসুনের রস মিশিয়ে কয়েকদিন খেতে দিন। জ্বর একবারে ছেড়ে যাবে আর আসবে না ইনশাআল্লাহ।

শরীর ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকলে : খাবার অসুবিধা নেই, ঠিকমত খাওয়া ও বিশ্রাম করা সত্তেও গায়ে মাংস লাগছে না, ওজন কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় রসুন ২ কোয়া বেটে একপোয়া দুধের সাথে মিশিয়ে নিন,  দুধ গরম হবে। এবার রসুন বাটা মিশানো দুধ খান। কিছুদিনের মধ্যেই উপকার পাবেন।

যৌবন স্থায়ী রাখতে : পুরুষ বা নারী যদি যৌবন স্থায়ী রাখতে চান, তাহলে এক চামচ থেকে দু’চামচ আমলীর (কাচা রস নিয়ে) , তার সাথে এক কোয়া বা দু’কোয়া রসুন-বাটা মিশিয়ে খাবেন. যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হবে। যৌবন আরম্ভ হওয়া থেকে পারলে খুবই সুফল পাবেন।

 মাথা ধরায় : অনেক সময় সর্দি না হলেও বায়ু প্রকুপিত হয়ে অনেক সময় মাথা ধরে, এ অবস্থায়গ কয়েকদিন ২ ফোটা করে রসুনের নস্য নিন। মাথা ধরায় উপকার পাবেন।

 শুক্রতারল্যে : অনেক কারণেই শুক্রতারল্য দেখা দিতে পারে। এ সমস্যা দেখা দিলে, সামান্য গরম দুধের সাথে ১ কোয়া বা ২ কোয়া রসুন বাটা মিশিয়ে খাবেন। তার ফলে অস্থিতে শক্তি সঞ্চর হবে। শরীরের ক্ষয় বন্ধ হবে ও শুক্রতারল্য থাকবে না।

বিভিন্ন জাতের রসুনের ছবি দেখতে ক্লিক করুন।

রসুন

Monday, March 24, 2014

শিমুল গাছের উপকারীতা

শিমুল গাছ কে আমরা অনেকেই অহেতু গাছ মনে করি। শিমুল গাছের গুনাবলী আমরা অনেকেই জানি না। জানি না শিমুল গাছ দিয়ে কি কি রোগের চিকিৎসা করা যায়। আজ আপনাদের শিমুল গাছের গুনাবলী নিয়ে আলোচনা করবো।


শিমুল গাছের পরিচয় : সাধারণ গ্রাম বাংলার শিমুল গাছ দেখা যায়। শিমুল গাছ বা শিমুল ফুল চেনে না এমন লোক অনেক কম আছে। শিমুল গাছের ইংরেজি নাম Silk Cotton । এটি উচচতা 15 থেকে 20 মিটার। শিমুল গাছ ছোট ছোট কাটা যুক্ত। শিমুল কাছের ফুল খুবই প্রসিদ্ধ আমাদের দেশে। শিমুল গাছ থেকে তুলাও হয়। আর বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।



রোগের চিকিৎসায় শিমুলের ব্যবহার : বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় শিমুল গাছের ব্যবহার সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল।

ফোড়া : ফোড়া হলে শিমুল গাছের ছাল ধুয়ে বেটে, ফোড়ার উপর প্রলেপ দিলে উপকার হয়।

য়ৌবনকালে শুক্রাল্পতায় : চারা শিমুলগাছের মূল বেটে 7 থেকে 10 গ্রাম নিয়ে তার সাথে একটু চিনি মিশিয়ে দু’বেলা খেলে শুক্রাল্পতা দুর হবে।

প্রৌঢ় অবস্থায় শুক্রাল্পতায় : চারা শিমুল গাছের নরম মূল চাকা-চাকা করে কেটে শুকিয়ে নিন। এবার ভালোভাবে চুর্ণ করে ছেকে একটা শিশিতে ভরে রাখুন। সে চুর্ণ দেড় থেকে দুগ্রাম মাত্রায় নিয়ে এককাপ দুধের সাথে খাবেন। এতে প্রচুর উপকার হবে।

প্রদরে : শিমুলের কচি মূল গাওয়া ঘিয়ে ভেজে নিন। নামাবার সময় তাতে সামান্য সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে দিন। এবার দেড় গ্রাম মাত্রায় নিয়ে এটা দু’বেলা খাবেন। প্রদরে খুব উপকার হয়।

পোড়া ঘায়ে : শিমুল তুলা নিয়ে তাতে শিমুল গাছের ছাল অথ্যাৎ মোচরস দিয়ে ভিজিয়ে পোড়া ঘায়ে দিন, ঘা সেরে যাবে।

রক্ত আমাশয়ে : শিমুলের ছাল ‍চুর্ণ করে  এক থেকে দুই গ্রাম মাত্রায় নিয়ে, ছাগল দুধের সাথে মিশিয়ে দু বেলা খাওয়ালে উপকার হবে।

Friday, March 14, 2014

হাতিশুড়া গাছের উপকারীতা

আমারা অনেকেই হাতিশুড়া গাছের গুনাবলী জানি না। অনেকেই চিনিনা এই গাছ কে। আপনাদের কে হাতিশুড়া দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার কথা জানাবো।

হাতিশুড়া গাছের পরিচয় : বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গ্রাম অঞ্চলে হাতিশুড়া গাছ দেখা যায়। হাতিশুড়া বর্ষজীবি উদ্ভদ। লম্বায় এক থেকে দুই ফু পর্যন্ত বাড়ে। কান্ড ফাপা ও বেশ নরম। গাছের প্রায় সব শাখা খাড়া হয়ে থাকে। সাদা ছোট লোমে গাছ ঢাকা থাকে। পাতা দেখতে ডিম্বাকৃতি, আগা দিকটা ছোট। নিচের দিকে কোন লোম থাকে না। বৃন্তদেশ গোলাকার অথবা হৃদপিন্ডাকৃতি। পুষ্পদন্ড অনেকটা হাতির শুড়ের মত, সামনের দিকটা বাকানো। বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যায় এই হাতিশুড়া।



বিভিন্ন চিকিৎসায় হাতিশুড়া : নিচে হাতিশুড়া গাছের উপকারীতা আলোচনা করা হল।

মাড়ির ঘায়ে: হাতিশুড়া গাছের পাতার রস সকালে এবং রাতে শোয়ার সময় প্রযোগ করলে তাড়াতাড়ি ক্ষত আরোগ্য লাভ করে।

চোখ ওঠায় : হাতিশুড়া গাছের পাতা ও কচি ডালের রস চোখে দিনে তিনবার করে প্রয়োগ করলে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। হাতিশুড়া চোখ ওঠার মহামুল্যবান ওষুধ।

বিছা ও বোলতা কামড়ালে : পাচ গ্রাম পাতার রস ও সমপরিমাণ রেড়ির তেল মিশিয়ে বিছা অথবা বোলতা কামড়ানোর স্থানে লাগালে যন্ত্রনায় আরাম হয়।

পাগলা কুকুরে কামড়ালে : পাগলা কুকুরে কামড়ালে হাতিশুড়া গাছের পাতার রস দশ গ্রাম পরিমাণ খাওয়ালে কুকুরের বিষ বিনষ্ট হয়।

ক্ষত ও ফোড়ায় : পোকা-মাকড়ের কামড়ে ক্ষতের সৃষ্টি হলে অথবা ফোড়া ফেটে যাবার পর ঘা শুকিয়ে যাবার জন্য হাতিশুড়া গাছের পাতার কচি ডালের রস প্রয়োগ করলে ঘা খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

গর্মী ঘায়ে : হাতিশুড়া গাছের পাতা বেটে ঘায়ে দিলে ঘা শীঘ্র শুকিয়ে যায়।

সন্নিপাত জ্বরে : একটি হতিশুড়া গাছে বেটে তার রস দশ গ্রাম পরিমাণ খেলে সন্নিপাত জ্বর নিরাময় হয়।

ব্রণে : বয়সে ব্রণ প্রায় অধিকাংশ যুবক যুবতির মুখে দেখা য়ায়। ভালো হয়ে গেলেও গালে কাল কাল দাগ পড়ে যায়। মুখের শ্রী বিনষ্ট হয়। হাতিশুড়া পাতা ও তার কচি ডাল বেটে দুপুরে গোসল করতে যাবার এক ঘন্টা আগে ব্রণের ওপর প্রলেপ দিলে ব্রণ সারে এবং নতুন করে আর ব্রণ হয় না।

Tuesday, March 4, 2014

আমলকী দিয়ে রোগের চিকিৎসা

আমলকী বেশ বড় ধরনের গাছ। আবহাওয়ার গুনের কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন উচ্চতা লাভ করে। আমলকীর  পাতা দেখতে তেতুলের পাতার মত। আমলকী একটি জংলি গাছ। এই জংলি আমলকী দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হয় যা আমরা অনেকেই জানি না।



রোগের চিকিৎসায় আমলকী: আমলকী একটি ওষুধি গাছ। এর গুনাবলীর শেষ নেই। কিছু গুরুত্বপূর্ন রোগের জন্য আমলকীর কিছু গুনাবলী নিম্নে দেওয়া হল।

কোষ্ঠবদ্ধতায়ঃ আমলকী, হরীতকী, বহেড়া এ তিনটি প্রতিটি 4 গ্রাম পরিমাণ আগের দিন সন্ধ্যা নাগাদ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালিপেটে খেলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়। এছাড়াও বায়ু, পিত্ত ও কফ এ তিনটি রোগও দুর হয়।

অম্লরোগঃ অম্লরোগে প্রতিদিন সকালে 6 গ্রাম পরিমাণ আমলকী পাতার রসে চিনি এক চামচ মিশিয়ে খেলে অম্লরোগ চিরতরে ভালো হয়ে যায়।

বহুমুত্র রোগঃ আমলকী গুড়া 3 গ্রাম,  চায়ের চামচের 1 চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে বহুমুত্র রোগের উপকার হয়। তবে মধু নিম ফুলের, আমের অথবা কাল জামের হওয়া দরকার। কারণ এ তিন ফুলের মধু বহুমুত্র রোগের উপকারী বস্তু।

চোখ ওঠাঃ চোখ ওঠা রোগ কাচা আমলকীর রস দুফোটা করে সারা দিনে দুবার চোখে দিলে চোখ ওঠা ভালো হয। তবে তিন দিন দেয়া দরকার।

চুল ওঠে যাওয়াঃ যাদের চুল ওঠে যায়। তারা বিভিন্ন প্রকার দামী দামী শ্যাম্পু ব্যবহার করে। য়দি আমরা কাচা আমলকী বেটে গোসল করএত যাবার তিন ঘন্টা আগে মাথায় মাখলে চুলের গোড়া শক্ত হয় ফলে চুল ওঠা বদ্ধ হয়ে যায়।

মাথা ধরাঃ আমলকী বেটে তার সাথে সাদা চন্দন ঘষে ভালোভাবে মেখে সারা কপালে দিলে রোগী আরাম পাবে এবং মাথা ব্যাথা কমে যাবে।

নাক দিয়ে রক্ত পরাঃ যাদের নাকে দিয়ে রক্ত পরে তারা শুকনা আমলকী এর পানি দিয়ে পরিষ্কার শিলে বেটে তালুতে প্রলেপ দিলে রক্ত পরা কমে যাবে।

আমলকীর আরো অনেক গুনাবলী রয়েছে। আমলকীর গুনাবলী বা উপকারীতা অনেক। এখানে সামান্য কিছু আলোচনা করা হয়েছে।

Monday, March 3, 2014

অর্জুন গাছের উপকারীতা

বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গ্রাম অঞ্চলে অর্জুন গাছ দেখা যায়। অর্জুন গাছ একটি তুলনামূলক ঔষুধি গাছ। এ গাছ দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ওষুধ তৈরী হয়। আজ আপনাদের অর্জূুন গাছের দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা কথা তুলে ধরব। অর্জন গাছ কে চেনার জন্য ক্লিক করুন।

বিভিন্ন অসুখে অর্জুন গাছের উপকারীতা :

প্রস্রাব বন্ধেঃ বিভিন্ন কারনে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। যদি কারো প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় তাহলে অর্জুন গাছের রস রোগীকে খাওয়ালে তার প্রস্রাব বাহির হয়ে যাবে।

রক্ত আমাশয়: আমরা রক্ত আমাশয়ের জন্য বিভিন্ন প্রকার দামি দামি ওষুধ ব্যবহার করি। অথচ হাতের কাছে অর্জুন গাছের ছাল ভালো করে বেটে ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো হয়ে যায়।

যহ্মারোগ : যহ্মা রোগে প্রথমে অর্জুন গাছের ছালকে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে তারপর মিহি করে গুড়া করতে হবে। তারপর পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ছেকে বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে আবার রোদে শুকিয়ে নিন। এভাবে বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে মোট সাতবার রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। ঐ ‍গুড়া 3 গ্রাম পরিমাণ নিয়ে দু’চামচ মধু চিনির সাথে মিশিয়ে রোজ সকালে এবং সন্ধায় মোট দু’বার খেতে হবে। এ রোগে দীর্ঘ চিকিৎসায় প্রয়োজন হয়। কাজেই চিকিৎসককে অনেক দিন ধৈর্য্য ধরে চিকিৎসা করে যেতে হবে। রোগীকেও ধৈর্য ধরতে হবে।

লো-ব্লাডপ্রেসারে:  কাচা অর্জুন গাছের 10 গ্রাম ছাল 500 মিলিলিটার গরুর দুধে ফুটিয়ে 200 মিলিলিটার পরিমাণ থাকতে আচ থেকে পাত্র নামিয়ে নিতে হবে। মাত্র 7 দিন একবার করে খেলে রক্তের চাপ স্বাভাবিক হবে।

মেচতার দাগঃ যৌবন বয়সে ব্রণ এবং বয়সকালে লিভার দুর্বল হয়ে গালে কাল ছাপ ধরে। এ দাগকে আমরা চলতি কথায় মেছতা বলে থাকি। অর্জুন গাছের ছাল মিহি করে গুড়িয়ে সে গুড়া মধুর সাথে মেখে খাবার তিন ঘন্টা আগে গালে লাগালে মেচতা দাগ উঠে যাবে। তবে দিনকতক নিয়মিত প্রযোগ করা দরকার।

এছাড়া অর্জুন গাছের ছাল যখন ওষুধ হিসেবে ব্যবহারে জন্যে সংগ্রহ করা হবে, সে ছাল যেন পূর্বদিক থেকে নেয়া হয়। কারণ সকালের রোদ পায় এমন গাছ এবং তাতে বেশি উপকার হয়।

Friday, February 28, 2014

হরিতকি গুনাবলী

হরিতকি গাছ বাংলাশেরে প্রায় সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায়। এ গাছ সচরাচর 40/50 ফুট উচু হয়। এর পাতাগুলো গোলাকার ডিমের মত, তবে কিছুটা লম্বাটে। জোড়া জোড়া পাতা সামনা সামনি সাজানো থাকে। ফুল আকারে ছোট এবং সাদা। চৈত্র থেকে বৈশাখ মাসের মধ্যে ফুল ফুটতে শুরু করে। তারপর ফল ধরে। শরৎকালে পাতা খসে পড়ে। শীতকালে পত্রহীন হয়ে যায়। হরিতকি চেনার জন্য ক্লিক করুন।

হরিতকি র গুনাবলী : আমরা অনেকেই হরিতকী খাই। হরিতকি গুনাবলী অনেকেই জানি না। আজ আমি আপনাদের হরিতকির গুনাবলী সম্পর্কে কিছু আলোচনা করবো।

  1. গুড়ের সাথে হরিতকি খাওয়ালে অর্শ, অম্ল, অজীর্ণ ও কোষ্ঠবদ্ধে উপকার হয়।

  2. ঘি এবং গুড়ের সাথে হরিতকি সেবনের পিত্ত শুল আরোগ্য হয়।

  3. বাতরক্তে গুড়ের সাথে হরিতকি পান সকল রকমের বাত রোগের উপশম হয়।

  4. অর্শ রোগে এক সাপ্তাহ হরিতকি গুড়া সকালে খেলে অর্শ রোগ ভালো হয়।

  5.  গাওয়া ঘি গরম করে এবং হরিতকি চুর্ণ সেবন করে তারপর উক্ত গরম ঘি সেবনে   দেহের লাবন্য বৃদ্ধির পায়।

  6. কফজ্বরে হরিতকি, চিরতা, পলতা গুলঞ্চ ও বাসকপাতা সমানভাগে নিয়ে মোট আধা সের পানিতে সিদ্ধ করে আধা পোয়া থাকতে নামিয়ে  নিয়মিত পান  করলে দুই একদিনের মধ্যে কফজ্বার ফালো হয়ে যায়।

  7. হরিতকি, আমলকি, পলতা নিমছাল, বহেড়া, সোদাল ও দ্রাক্ষা সমানভাবে নিয়ে আধা সের পানিতে সেদ্ধ করে আধা পোয়া থাকতে নামিয়ে তাতে 10 মিলি গ্রাম চিনি মিশিয়ে সেবন করলে অনেক পুরোতন জ্বর ভালো হয়।

  8. দাতের চিকিৎসায় আমলকি খুবেই গুরুত্ব পূর্ণ। হরিতকি বহেড়া, আমলকি, পলতা নিমছাল সমান ভাবে নিয়ে পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলুকুচি করলে সব রকমের দন্তরোগ সেরে যায়। দাতশূল হরিতকি, বহেড়া, আমলকি, মুথা ও কুড় এক সাথে মর্দন করে তারপর ঐ মিশ্রণ দিয়ে দাত ঘষলে দন্তশূল আরোগ্য হয়।

  9. হরিতকি দিয়ে মোরব্বা তৈরি করা যায়। মোরব্বা তৈরি নিয়মঃ কাচা হরিতকি গুলোকে ভালো করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর লোহা শলাকা দিয়ে হরিতকি গুলোকে একে একে ভালো করে সিদ্ধ করতে হবে। পরপর পাচবার গরম পানিতে সিদ্ধ করে গরম পানি ফেলে দিতে হবে। ফলে হরিতকি কষ বেরিয়ে যাবে। তারপর চিনির রস িএ হরিতকি গুলো জ্বাল দিতে হবে। এর পর হরিতকি গুলোকে  কয়েকদিন চিনির রসে রেখে দিলে সুন্দর হরিতকি মোরব্বা তৈরি হবে।


এছাড়া হরিতকির আরো অনেক উপকারীতা বা গুনাবলী রয়েছে। এখানে মূলত বিশেষ কিছু কিছু রোগের চিকিৎসার জন্য যে গুনাবলী গুলো প্রয়োজন তা আলোচনা করা হয়েছে।

Wednesday, February 26, 2014

কলমি শাক এর গুনাবলী

আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি গ্রামে কলমি শাক চাষ করতে দেখা যায়। আমারা অনেকেই কলমি শাক পছন্দ করি আবার অনেকেই কলমি শাক অপছন্দ করি। আমরা অনেকেই কলমি শাক শুধু শাক হিসাবে খাই। অনেকেই জানি না কলমি শাক দিয়ে অনেক ধরনের রোগের চিকিৎসা করা যায়। আজ আপনাদের কলমি শাকের কিছু উপকারীতা বা গুনাবলী সম্পর্কে আলোচনা করব।

  1. আমাদের দেশে প্রসূতির স্তন্যদগ্ধ বৃদ্ধির জন্যে কলমি শাক এর ঝোল খেতে দেয়া হয়। এতে স্তন্যদগ্ধ বৃদ্ধি পায়।

  2. কলমি শাক হিষ্টিরিয়া রোগী ও মস্তিষ্ক বিকার গ্রস্থ ব্যক্তির জন্য বিশেষ উপকারী শাক।

  3. গ্রাম অঞ্চলে প্রায়শ বাড়িতে বসন্ত রোগ দেখা যায়। বসন্ত রোগীকে প্রথমেই কলমি শাক এর রস পান করালে বসন্তের গুটিগুলো শীঘ্রই বেরিয়ে পড়ে এবং এ রোগের বিষ কেটে যায়।

  4. ফোড়া পাকাতে কলমি শাক এর রস পান করলে দ্রুত পেকে যায়।

  5. আর্সেনিক ও আফিং দুটি বেশি পরিমানে খেয়ে শরীরের বিষক্রিয়ায় রোগী যদি বমি করতে শুরু করে তবে 35 থেকে 70 মিলিলিটার পরিমাণ কলমি শাক এর রস খাওয়ালে বিষক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়। তখন রোগীর মৃত্যু আশঙ্কা থাকে না।

  6. অনেক মহিলার স্তনে ফুসকা রোগ দেখা যায়। কলমি শাকে এর পাতা ভালো ভাবে বেটে সেটা গরম করে স্তনে লাগাতে হয়। ফুসকা পেকে গেলে কলমি শাক এর রস দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে স্তনের ফুলা কমবে এবং শক্ত ভাবটা নরম হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। তাছাড়া বসে যাওয়া দুধ তরল হয়ে বেরিয়ে আসবে।

  7. যাদের স্বপ্নদোষ ও বীর্য তরল তারা কলমি শাক এর রস 3 চামচ এবং অশ্বগন্ধার মুলের গুড়া দেড় গ্রাম গরুর এক কাপ দুধের মিশিয়ে রাতে শোবার সময় একবার করে খেলে বীর্য গাঢ় হবে এবং স্বপ্নদোষও বদ্ধ হবে।


কলমিশাক সম্পর্কে আরো বিশদ ভাবে জানতে ক্লিক করুন।

Thursday, February 20, 2014

গোলমরিচ দিয়ে রোগের চিকিৎসা

আমরা গোলমরিচ প্রতিনিয়ত খাই। কিন্তু অনেকেই জানিনা গোলমরিচ এর উপকারীতা। আপনাদের আজ গোলমরিচ এর উপকারীতা সম্পর্কে কিছু তথ্য দিব আশা করি কাজে লাগবে।

গোলমরিচ এর উপকারীতা বা গুনাবলী :

  1. * গোলমরিচের গুড়ো ঘি বা চিনি ও মধুতে মিশিয়ে চাটলে সব রকম কাশি  কমে।

  2. আমাশায় গোলমরিচ পানিতে মিশিয়ে খেলে উপশম হয়।

  3.  যাদের ঘুম ধরে না তারা দইয়ের সঙ্গে গোলমরিচ ঘষে চোখে কাজলের মত দিলে ঘুম আসে।

  4. পেট ফাপা, একটানা পেটের অসুখ বা পুরোনো পেটের অসুখে এবং পাকাশয়ের দুর্বলতায় গোলমরিচ খেলে উপকার পাওয়া যায়।

  5. দাতের ব্যাথা গোলমরিচ এর প্রলপ দিলে উপকার হয়।

  6. সর্দিতে শুকনো আদা উপকারী। কিন্ত গোলমরিচ সাধারণ সর্দিতে আরও বেশী উপকার দেয। যে সর্দিতে ভুগছেন তিনি যদি দুধের সঙ্গে গোলমরিচ ফুটিয়ে পান করেন তাহলে শারীরিক ব্যাধি কমবে।

  7. গোলমরিচ ও রসুন এক সঙ্গে পিষে খাওয়া প্রথম গ্রাসে যদি ঘি মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে বাষুর উপশম হয়।

  8. পুরোন জ্বরে গোলমরিচ বিশেষ উপকারী।

  9. প্রতিদিন গোলমরিচ এর দুই থেকে তিনটি দানা  খেলে অনেক অসুখের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

  10. গোলমরিচ দিয়ে ফোটানো দুধ খেলে কাশি সারে।

  11. গোলমরিচ এর গুড়ো দই আর পুরোনো গুড় মিশিয়ে খাওয়ালে নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

  12. গোলমরিচ ও গন্ধক (কবিরাজি দোকানে পাওয়া যায়) মিহি করে পিষে ঘি দিয়ে ভালো করে মেড়ে নিয়ে গায়ে লাগালে এবং তার পরে রোদে গিয়ে বসলে চুলকানি সেরে যায়।

  13. গোলমরিচ এর গুড়ো তুলসী পাতার রস ও মধু মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়া সেরে যায়।

  14. যাদের হজম শক্তি কম তারা টাটকা পুদিনা পাতা গোলমরিচ সৈবন্ধব লবণ হিং, আঙুর জিরা এই সব এক সাথে মিশিয়ে পিষে লেবুর সর মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি বাড়ে এবং খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি পায়।

তবে মনে রাখতে হবে যে প্রতিদিন টাটকা গোলমরিচ পিষে ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যাবে। অতিরিক্ত কিছুই ভালো নয়। গোলমরিচ ও মাত্রাধিক পরিমাণে খেলে শরীরের উপকার না করে ক্ষতিই করবে। কাজেই সঠিক পরিমাণ, অল্প পরিমাণ গোলমরিচ খেলেই সুফল পাওয়া যাবে।

গোলমরিচ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে  ক্লিক করুন।

Friday, February 14, 2014

ways to increase the memory of the human brain

We tried a lot of memories of the human brain. Very short period of time will tell you how to increase memory power of the brain.

Centella Juice 3 drops,10 grams of milk and a tea-spoon of honey mixed juice will eat for a few days.Over time in musty, sour and can not eat oil.

For ages susami reduce retention by shakir rose pak spoon with ghee and juice will eat for a few days. It is required to make the boys. A sahadebira 4 teaspoon of the juice of plants whole wheat juice or half a quarter of warm (10 ml) mixed with warm milk and plays with a little sugar or candy can reduce the dizziness and forgotten. When the human brain memory center suddenly stop working, playing every two nisinda lip proceeded deep memories come back to power.

 

স্তনের ঠুনকো রোগের চিকিৎসা

স্তনের ঠুনকো ও ফোড়ার পিঁয়াজের রস গরম করে লাগালে সুফল পাওয়া যায়। স্তনের ঠুনকো ঘন করে রক্ত চন্দনম ঘষা দিনে ও রাতে 3/4 বার লাগাতে হবে। এতে স্তনের ফোড়া ও সারে।

যতোদূর সম্ভব দুধ গেলে ফেলে এরন্ড পাতা আগুনে একটু গরম করে ঐ পাতা চাপা দিয়ে বেধে রাখলে ফোলা ও ব্যাথা দুই কমে যায়। আর 7/8 গ্রাম পাতা এক পোয়া পরিমাণ পানিতে সেদ্ধ কর তিন ছটাক হলে নামিয়ে ছেঁকে খেতে হবে।

স্তনের ঠুনকোতে কলমীশাক পিষে অল্প গরম করে স্তনে লাগান এবং ঐ শাকের রস দিয়ে ধুয়ে নিন, এতে বসা দুধ পাতলা হয়ে বের হতে সুবিধা হবে এবং জ্বালা- যন্ত্রনাও কমে যাবে।

Thursday, February 13, 2014

স্তনে দুধ বৃদ্ধি করার ওষুধ



মায়ের স্তনে দুধের তুলনা নেই। একটি শিশুর প্রথম খাবার মায়ের স্তনের দুধ। আর এই দুধ যদি শিশু সঠিক ভাবে না পায় তাহলে অনেক শিশু মারাত্মক পুষ্টির অভাবের শিকার হয়। আজ আপনাদের স্তনে দুধ বৃদ্দি করার কিছু টিপস্ দিব আশা করি তা কাজে লাগবে।

স্তনে দুধ বৃদ্ধি করার ঔষুধঃ কাঁচা সবুজ তেলাকচু ফলের রস একটু গরম করে ছেকে 1 চা চামচ রস 4/5 ফোঁটা মধু মিশিয়ে সকাল-বিকাল দু’বার সেবন করলে 4/5 দিনের মধ্যে স্তনে দুধ আসবে। 3/4 চা-চামচ কলমীশাকের রস একটু ঘিয়ে সাতঁলে সকার বিকাল দু’বার খাবেন। এতে অবশ্যই দুধ বাড়বে।

5 গ্রাম পরিমাণ এরন্ডের কচি পাতা, আধা পোয়া দুধ আর আধাসের পানি একসঙ্গে সেদ্ধ করে এক পোয়া হলে নামিয়ে ছেঁকে সেবন করলে স্তনে দুধ বৃদ্ধি পাবে। রোজ একটি করে রেড়ির পাতা গরুকে খাওয়ালে গরুরও দুধ বৃদ্ধি পায়।

সূতিকা রোগ এক বারেই শেষ

সূতিকা রোগ একটি মারাত্মক রোগ। সূতিকা রোগ এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে। আমরা সকলেই হারবাল ওষুধের গুনাবলী সম্পর্কে জানি। আজ সূতিকা রোগের কিছু পরামর্শ দিব আশা করি কাজে লাগবে।

সূতিকা রোগের ওষুধঃ বড় শামুকের (গুগলী) মধ্যে কুসুমের ন্যায় হলুদ রং- এর একখন্ড পদার্থ থাকে। এটি এক টুকরা পাকা সবরী কলার মধ্যে ভরে বাসি বিছানায় অর্থাৎ শয্যা ত্যাগের পূর্বে শয্যায় থেকে অন্য লোক দ্বারা খাইয়ে দেবেন। যিনি খাওয়াবেন তিনি আর ঐ দিন রাতের মধ্যে রোগৗর সঙ্গে দেখা করবেন না বা রোগীকে ওষুধ খাওয়াবেন না। এ ওষুধ একদিন একবার মাত্র খাওয়ালে সূতিকাজনিত জ্বর, মাথা ঘোরা, পেটের অসুখ প্রভৃতি যাবতীয় উপসর্গ অবশ্যই দুর হবে।

ব্রণ সমস্যা সমাধান করুন গাছ দিয়ে



ব্রণ মুখের সৌন্দয্য নষ্ট করে। আমার অনেকেই ব্রণ থেকে মুক্তি লাভের জন্য অনেক টাকা খরচ করে বিদেশী ঔষুধ ব্যবহার করি। এতে অনেক সময় ভালো হয় আবার নাও হয়। আজ থেকে প্রায় 50 বছর পূর্বে বেশী ভাগ লোকই গাছের রস, গাছের শিকড় দিয়ে চিকিৎসা করত। তখনকার দিনে এত বেশী রাসায়নিক ঔষুধ ছিল না। তখন এই হারবাল চিকিৎসা দিয়ে বেশী ভাগ মানুষ সুস্থ্য হয়েছে।

ব্রণ বিনষ্ট করার জন্য অর্জুন গাছে ছালের মিহি গুঁড়া করে মধু মিলাইয়া মুখ মন্ডলের ব্রণে কয়েকদিন মাত্র ব্যবহার করিলেই ম্যাজিকের মত সমস্ত ব্রণ মিশিয়া যায়। এতে মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে। এতে ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না। এতে খরচ ও কম।

ব্রণ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

Wednesday, February 12, 2014

আপেলের উপকারীতা



আমরা প্রায় নিয়মিত আপেল খাই। কিন্তু অনেকেই আপেলের উপকারীতা সম্পর্কে জানি না এবং  জানি না আপেলে কি কি গুনাবিল আছে। নিচে আপেলের উপকারীতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল-----------

* আপেলে carbohydrate, sugar, folic acid, potassium, calcium, B vitamins, iron, magnesium, ও zinc আছে। যা শরীরে জন্য
খুবই উপকারী।
* আপেলে পেকটিন নামের ফাইবার আছে যা সহজে তরলে মিশে যায়|ফাইবার অন্ত্র নালিতে cholesterol জমতে দেয় না,
এবং শরীর থেকে cholesterol খরচ কমিয়ে আনে| এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে|
* এটি ব্লাড প্রেসার ও রক্তের glucose/ sugar নিয়ন্ত্রণ করে | coronary artery disease ও diabetes এর রোগীরা তাই এটি খেলে উপকার পান |
এটি হজমের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরীতে সাহায্য করে | তাই হজম শক্তি বৃধ্ধ্বি করে ও ঠিক রাখে।
* আপেলের খোসায় polyphenols নামক antioxidant আছে, যা কোষকে ধ্বংশ হয়ে দেয় না|
* আপেলে phenols আছে, যা LDL Cholesterol কমায় ও ভালো cholesterol HDL বাড়ায়|
* আপেলে পর্যাপ্ত boron আছে, যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে ও ব্রেইনের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
* আপেলে আছে flavonoid, যা antioxidant, এটি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে, হার্টের অসুখ ও ক্যান্সার হতে রক্ষা করে
* আপেলে Quercetin আছে, যা একটি flavonoid, এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে শরীরকে রক্ষা করে|
এই পুষ্টি উপাদানটি free radical ধ্বংশ হতে রক্ষা করে| তাছাড়া এটি DNA ধ্বংশ হতেও রক্ষা করে|
Free radical ধ্বংশ হতে রক্ষা করার জন্য, বার্ধক্য জনিত রোগ, যেমন: Alzheimer’s হতেও এটি রক্ষা করে |
* আপেলে প্রচুর Phytonutrients, যেমন: ভিটামিন A, E ও beta carotene আছে| এগুলো ও free radical ধ্বংশ হতে,
ব্রেইনের অসুখ হতে বাধা দেয়, ফুসফুস ভালো রাখে ও শ্বাস প্রশ্বাস প্রক্রিয়া ভালো রাখে | ফলে শরীর অনেক রোগ
থেকে মুক্তি পায় , যেমন: হার্টের অসুখ , Diabetes ও Asthma , Parkinsonism , Alzheimer’s.
* অন্যান্য ফলের মত আপেলের চিনি রক্তের চিনির মাত্র বাড়িয়ে দেয় না| ফলে diabetes এর রোগীরা নিশ্চিন্তে
পরিমানমত আপেল খেতে পারেন |
* আপেল প্রথমত: খেতে খুবই সুস্বাদু, সহজে ক্ষুধা নিবারণ করতে এই ফলের জুড়ি নেই| আপেলে পর্য াপ্ত ক্যালরী আছে।
* এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য ভালো| তাই bowel পরিষ্কার রেখে, কোলন ক্যান্সার হতে দেয় না।
* আপেলে কোনো লবন নেই, তাই আপেল থেকে অতিরিক্ত লবন খাবার কোনো সম্ভাবনা নেই|
* আপেলে সামান্য ভিটামিন সিও আছে| তাই আপেল রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে |
ভিটামিন সি তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে সক্ষম|
* আপেল লিভার ও gall bladder পরিষ্কার রাখে, এর পাথর (gallstones) দূর করে বা ধ্বংশ করে
* আপেলের প্রচুর পানি আছে, তাই এটি পানিশুন্যতা দূর করে, তৃষ্ণা মেটায় ও শরীর ঠান্ডা করে|
* আপেল Gastric এর সমস্যা কমায়। আপেলের রস দাঁতের জন্য ভালো| কারণ ব্যাকটেরিয়া এর কারণে দাঁতের ক্ষয় হয়,
আপেলের রস ৮০% পর্যন্ত দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশ করতে পারে|
* জ্বর হলে তা কমাতে সাহায্য করে, তাই জ্বর এর রোগীরা আপেল খেলে ভালো বোধ করেন|
* আপেলের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে তা কফ দুর করে|
* আপেল ডায়রিয়া হলে তা সারাতে সাহায্য করে|
* আপেল মাসেল টোন করতে সাহায্য করে ও ওজন কমায়

অটোরান ভাইরাস দুর করুন পেনড্রাইভের থেকে



পিসিতে যে কোন প্রকার ইউএসবি পেনড্রাইভের অটোরান বদ্ধ করতে পারবেন। এই সফওয়্যার টি ইনষ্টল করার পর আপনাকে
Disables AutoRun on removable drives অপশনে ক্লিক করে apply তে ক্লিক করলে অটোরান বদ্ধ হয়ে যাবে। এ থেকে আপনি অটোরান ভাইরাস থেকেমুক্তি পাবেন। এ সফটওয্যারটি দিয়ে Disables AutoRun on drives of unknown type , Disables AutoRun on removable drives, Disables AutoRun on fixed drives , Disables AutoRun on network drives, Disables AutoRun on CD-ROM drives, Disables AutoRun on RAM disks, Disables AutoRun on all kinds of drives করতে পারবেন। দেরী না করে মাত্র 524 কেবির সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করে নিন।

র‌্যাম ক্লিনার দিয়ে পিসির স্পিরিট বাড়ান



পিসির স্পিরিট বাড়ান ছোট একটি সফওয়্যার দিয়ে।  আমরা অনেক সময় ভারি সফওয্যার ইন্সটল দিয়ে কাজ করলে বা গেম খেললে পিসি স্লো হয়ে যায়। এই সফওয়্যার <দিয়ে আপনি আপনার পিসির স্পিরিট বহুগুন বাড়িয়ে নিতে পারে খুব সহজেই।নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন মজার এই সফওয়্যারটি আর উপভোগ করুন পিসির স্পিরিট।

ডাউনলোড করুন এখান থেকে

এক ক্লিকেই temp, %temp%, recent, prefetch ক্লিয়ার করুন



আমরা কম্পিউটারের temp, %temp%, recent, prefetch রান কম্পান্ডে গিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে কমান্ড টাইপ করে temp, %temp%, recent, prefetch ক্লিন করি। এতে অনেক সময় লাগে। এ সমস্যা সমাধান করতে পারি মাত্র 24 কেবির একটি সফওয়্যার দিয়ে। এই সফওয়্যার টি অনেক সময় বাঁচিয়ে দিবে এবং temp, %temp%, recent, prefetch ক্লিন করে দিবে নিমিষেই। নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন উক্ত সফওয়্যারটি।

ডাউন লোড  করুন এখান থেকে।