বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গ্রাম অঞ্চলে অর্জুন গাছ দেখা যায়। অর্জুন গাছ একটি তুলনামূলক ঔষুধি গাছ। এ গাছ দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ওষুধ তৈরী হয়। আজ আপনাদের অর্জূুন গাছের দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা কথা তুলে ধরব। অর্জন গাছ কে চেনার জন্য ক্লিক করুন।
বিভিন্ন অসুখে অর্জুন গাছের উপকারীতা :
প্রস্রাব বন্ধেঃ বিভিন্ন কারনে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। যদি কারো প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় তাহলে অর্জুন গাছের রস রোগীকে খাওয়ালে তার প্রস্রাব বাহির হয়ে যাবে।
রক্ত আমাশয়: আমরা রক্ত আমাশয়ের জন্য বিভিন্ন প্রকার দামি দামি ওষুধ ব্যবহার করি। অথচ হাতের কাছে অর্জুন গাছের ছাল ভালো করে বেটে ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো হয়ে যায়।
যহ্মারোগ : যহ্মা রোগে প্রথমে অর্জুন গাছের ছালকে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে তারপর মিহি করে গুড়া করতে হবে। তারপর পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ছেকে বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে আবার রোদে শুকিয়ে নিন। এভাবে বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে মোট সাতবার রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। ঐ গুড়া 3 গ্রাম পরিমাণ নিয়ে দু’চামচ মধু চিনির সাথে মিশিয়ে রোজ সকালে এবং সন্ধায় মোট দু’বার খেতে হবে। এ রোগে দীর্ঘ চিকিৎসায় প্রয়োজন হয়। কাজেই চিকিৎসককে অনেক দিন ধৈর্য্য ধরে চিকিৎসা করে যেতে হবে। রোগীকেও ধৈর্য ধরতে হবে।
লো-ব্লাডপ্রেসারে: কাচা অর্জুন গাছের 10 গ্রাম ছাল 500 মিলিলিটার গরুর দুধে ফুটিয়ে 200 মিলিলিটার পরিমাণ থাকতে আচ থেকে পাত্র নামিয়ে নিতে হবে। মাত্র 7 দিন একবার করে খেলে রক্তের চাপ স্বাভাবিক হবে।
মেচতার দাগঃ যৌবন বয়সে ব্রণ এবং বয়সকালে লিভার দুর্বল হয়ে গালে কাল ছাপ ধরে। এ দাগকে আমরা চলতি কথায় মেছতা বলে থাকি। অর্জুন গাছের ছাল মিহি করে গুড়িয়ে সে গুড়া মধুর সাথে মেখে খাবার তিন ঘন্টা আগে গালে লাগালে মেচতা দাগ উঠে যাবে। তবে দিনকতক নিয়মিত প্রযোগ করা দরকার।
এছাড়া অর্জুন গাছের ছাল যখন ওষুধ হিসেবে ব্যবহারে জন্যে সংগ্রহ করা হবে, সে ছাল যেন পূর্বদিক থেকে নেয়া হয়। কারণ সকালের রোদ পায় এমন গাছ এবং তাতে বেশি উপকার হয়।
No comments:
Post a Comment