মাথা থাকলে যে মাথা ব্যথা হবে এটাই স্বাভাবিক। সারাদিন কাজের পর বাড়ি এসে দেখলেন আপনার মাথাটি ততক্ষণে ধরে গিয়েছে।মাথা যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে, কিন্তু মাথা ব্যথা নিয়েই করে ফেলতে হল সব কাজ। অনেকে মাথা ব্যথা হলেই চটপট নানারকম পেনকিলার খেয়ে ফেলেন কোনো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই। যখন তখন পেনকিলার খেয়ে ফেলার ‘সুফল’ আজ না হলেও পরে একদিন বুঝতে পারবেন ঠিকই। আর আমাদের আজকালকার যা জীবনযাত্রার ধারা, তাতে স্ট্রেস, টেনশন তো এড়াতে পারবেনই না। মাইগ্রেন, সাইনাসও আজকাল ঘরে ঘরে। ফলে মাথা ধরাও থাকবে আপনারই সাথে। তাহলে কি উপায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক তারই কয়েকটা।
মাথা ব্যথা সম্পকে আরো জানতে ভিডিও টি দেখতে পারেন
মস্তিষ্কে ‘ফিল গুড’ কেমিক্যাল সেরাটোনিনের অভাব হলে অনেক সময় মাইগ্রেন জাঁকিয়ে বসতে পারে। ভিটামিন বি মস্তিষ্কে এই সেরাটোনিন উৎপাদনে বড় ভূমিকা নেয়। ভিটামিন বি, যা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স নামে পরিচিত তা মাথায় রক্ত চলাচল বাড়ায়। ভিটামিন বি-২ মাইগ্রেনকেও কমায়। স্টাডি থেকে জানা গেছে দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন বি যদি আপনি খান তাহলে মাথা ব্যথার ক্ষেত্রে উপকার পেতে পারেন। তাছাড়া চীজ, আমন্ড, তিল ইত্যাদি ভিটামিন বি যুক্ত খাবার রোজ বেশী করে খাবার অভ্যেস করুন।
আদা
মাথা ব্যথার আরেকটা অমোঘ ওষুধ হল আদা যা মাথা ব্যথা থেকে আপনাকে প্রায় নিমেষে মুক্তি দিতে পারে। মস্তিষ্কের রক্তবাহের প্রদাহ কমিয়ে আদা আপনার মাথা ব্যথা কমায়। আর যেহেতু আদা পরিপাকে সাহায্য করে, তাই মাইগ্রেনের সময় যে বমিভাব হয়, আদা তাকেও কমায়। মাথা ব্যথা করলে আদা দিয়ে চা করে তো খেতে পারেনই, তাছাড়া সমান পরিমাণ আদা ও পাতিলেবুর রস একসাথে মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন।মাথা ব্যথা সম্পকে আরো জানতে ভিডিও টি দেখতে পারেন
পিপারমেন্ট তেল
মাথা ব্যথা করলে কপালে পিপারমিন্ট তেল লাগিয়ে দেখুন। তাড়াতাড়ি আরাম পাবেন। পিপারমিন্ট তেলের সুন্দর গন্ধ মাথার জমে যাওয়া রক্তবাহে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। পিপারমিন্টের তেল ত্বককে ঠাণ্ডা করে রিফ্রেশ করে ও এতে থাকা মেন্থল কপালে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে মাথা ব্যথার থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া পেশীর সংকোচনে বাধা দিয়ে পিপারমিন্ট তেল মাথা ধরাকে কমিয়ে দেয়।ম্যাগনেশিয়াম
মাথা ধরার একেবারে মোক্ষম ওষুধটি হল এই ম্যাগনেশিয়াম। সাইনাস, মাইগ্রেনের মতো সিরিয়াস মাথা ব্যথার অসুখ যদি আপনার থেকে থাকে, তাহলে সেসব থেকে কিন্তু মুক্তি মিলতে পারে এই ম্যাগনেশিয়ামেই। ম্যাগনেসিয়াম ট্যাবলেট তো খেতে পারেনই, পেনকিলারের থেকে সবদিক থেকেই তা নিরাপদ। ম্যাগনেসিয়াম ‘ব্রেন সিগনালিং’ যা ‘কর্টিকাল স্প্রেডিং ডিপ্রেশন’ নামে পরিচিত, যা মাথা ব্যথার সময় দেখার ও অনুভুতির তফাৎ ঘটিয়ে দেয়, তাকে আটকায়। ফলে মাথা ব্যথার সম্ভাবনা কমে। দিনে ২০০-৬০০ মিলিগ্রাম করে ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে পারলে দেখবেন ঘন ঘন মাথা ব্যথার প্রবণতা অনেক কমে গেছে। বেশী করে ফাইবার যুক্ত খাবার খান। আর বিনস, হোল গ্রেন জাতীয় খাবার, বাদাম, ব্রকোলি, ও সবুজ পাতাওয়ালা শাক খান। এছাড়া দুগ্ধজাত খাবার, চকোলেট, মাংস, কফিতেও ম্যাগনেসিয়াম থাকে।ভিটামিন বি
মস্তিষ্কে ‘ফিল গুড’ কেমিক্যাল সেরাটোনিনের অভাব হলে অনেক সময় মাইগ্রেন জাঁকিয়ে বসতে পারে। ভিটামিন বি মস্তিষ্কে এই সেরাটোনিন উৎপাদনে বড় ভূমিকা নেয়। ভিটামিন বি, যা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স নামে পরিচিত তা মাথায় রক্ত চলাচল বাড়ায়। ভিটামিন বি-২ মাইগ্রেনকেও কমায়। স্টাডি থেকে জানা গেছে দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন বি যদি আপনি খান তাহলে মাথা ব্যথার ক্ষেত্রে উপকার পেতে পারেন। তাছাড়া চীজ, আমন্ড, তিল ইত্যাদি ভিটামিন বি যুক্ত খাবার রোজ বেশী করে খাবার অভ্যেস করুন।
দারচিনি
মাথা ধরা কমাতে দারচিনিকে ‘মিরাকল’ ওষুধ বলা হয়। মাথা ব্যথা করলে দারচিনি গুঁড়ো করে জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে কপালে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পরে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মাথা ব্যথা জাস্ট ভ্যানিশ হয়ে গেছে।ল্যাভেন্ডার তেল
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের সুন্দর কিন্তু মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। মাইগ্রেনের ব্যথাতেও ল্যাভেন্ডার তেল উপকারী। তুলোয় অল্প ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল নিয়ে নাকের কাছে এনে গন্ধ শুঁকুন। তাছাড়া ফুটন্ত জলে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে ভাপও নিতে পারেন। বা বাদাম তেলের সঙ্গে মিশিয়ে কপালে মালিশও করতে পারেন। দেখবেন কেমন আরাম পান
No comments:
Post a Comment