হরিতকি র গুনাবলী : আমরা অনেকেই হরিতকী খাই। হরিতকি গুনাবলী অনেকেই জানি না। আজ আমি আপনাদের হরিতকির গুনাবলী সম্পর্কে কিছু আলোচনা করবো।
- গুড়ের সাথে হরিতকি খাওয়ালে অর্শ, অম্ল, অজীর্ণ ও কোষ্ঠবদ্ধে উপকার হয়।
- ঘি এবং গুড়ের সাথে হরিতকি সেবনের পিত্ত শুল আরোগ্য হয়।
- বাতরক্তে গুড়ের সাথে হরিতকি পান সকল রকমের বাত রোগের উপশম হয়।
- অর্শ রোগে এক সাপ্তাহ হরিতকি গুড়া সকালে খেলে অর্শ রোগ ভালো হয়।
- গাওয়া ঘি গরম করে এবং হরিতকি চুর্ণ সেবন করে তারপর উক্ত গরম ঘি সেবনে দেহের লাবন্য বৃদ্ধির পায়।
- কফজ্বরে হরিতকি, চিরতা, পলতা গুলঞ্চ ও বাসকপাতা সমানভাগে নিয়ে মোট আধা সের পানিতে সিদ্ধ করে আধা পোয়া থাকতে নামিয়ে নিয়মিত পান করলে দুই একদিনের মধ্যে কফজ্বার ফালো হয়ে যায়।
- হরিতকি, আমলকি, পলতা নিমছাল, বহেড়া, সোদাল ও দ্রাক্ষা সমানভাবে নিয়ে আধা সের পানিতে সেদ্ধ করে আধা পোয়া থাকতে নামিয়ে তাতে 10 মিলি গ্রাম চিনি মিশিয়ে সেবন করলে অনেক পুরোতন জ্বর ভালো হয়।
- দাতের চিকিৎসায় আমলকি খুবেই গুরুত্ব পূর্ণ। হরিতকি বহেড়া, আমলকি, পলতা নিমছাল সমান ভাবে নিয়ে পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলুকুচি করলে সব রকমের দন্তরোগ সেরে যায়। দাতশূল হরিতকি, বহেড়া, আমলকি, মুথা ও কুড় এক সাথে মর্দন করে তারপর ঐ মিশ্রণ দিয়ে দাত ঘষলে দন্তশূল আরোগ্য হয়।
- হরিতকি দিয়ে মোরব্বা তৈরি করা যায়। মোরব্বা তৈরি নিয়মঃ কাচা হরিতকি গুলোকে ভালো করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর লোহা শলাকা দিয়ে হরিতকি গুলোকে একে একে ভালো করে সিদ্ধ করতে হবে। পরপর পাচবার গরম পানিতে সিদ্ধ করে গরম পানি ফেলে দিতে হবে। ফলে হরিতকি কষ বেরিয়ে যাবে। তারপর চিনির রস িএ হরিতকি গুলো জ্বাল দিতে হবে। এর পর হরিতকি গুলোকে কয়েকদিন চিনির রসে রেখে দিলে সুন্দর হরিতকি মোরব্বা তৈরি হবে।
এছাড়া হরিতকির আরো অনেক উপকারীতা বা গুনাবলী রয়েছে। এখানে মূলত বিশেষ কিছু কিছু রোগের চিকিৎসার জন্য যে গুনাবলী গুলো প্রয়োজন তা আলোচনা করা হয়েছে।