Sunday, April 20, 2014

হলুদ দিয়ে রোগের চিকিৎসা

বিভিন্ন কাজে আমারা হলুদ ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে রান্নার কাজে হলুদ এর চাহিদার শেষ নেই। কিন্তু অনেকেই জানিনা হলুদ দিয়ে বিভিন্ন চিকিৎসা হয়। উপকার হয় অনেক রোগের। আসুন আজ আপনাদের হলুদ এর গুনাবলী নিয়ে আলোচনা করি। হলুদ এর পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
বিভিন্ন চিকিৎসায় হলুদ এর ব্যবহার :
নিচে হলুদ এর গুনাবলী আলোচনা করা হল।

  1. মুখের লাবণ্য বাড়াতে : মুখের লাবণ্য বাড়াতে হলুদ এর জবাব নেই। কাঁচা হলুদ ও ভিজানো মসুর ডাল একত্রে বেটে তার সাথে দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখলে, মুখের লাবণ্য বৃদ্ধি পায়।

  2. দেহের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে : আগে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের তেল-হলুদ মাখিয়ে গোসল করানোর প্রথা ছিল। এতে দেহের উজ্জলতা বাড়ে। খোসপাসড়া চুলকানি প্রভৃতি চর্মরোগও হয় না এবং উজ্জ্বলতা বাড়ে।

  3. ক্রিমি রোগে : বয়স অনুযায়ী 15 তেকে 20 ফোটা কাচা হলুদ এর রস ছেকে তাতে অল্প লবণ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে, ক্রিমি নাশ হয়।

  4. গলা ধরে গেলে : চিৎকার, বক্তৃতা বা গান, যে কোনও কারণে গলা বসে গেলে হলুদগুড়া 2 গ্রাম পরিমাণে নিয়ে পানি মিশিয়ে তাতে চিনি দিয়ে শরবত করে একটু গরম হলুদে খেলে খুব উপকার হয়।

  5. তোতলামিতে : তাড়াতাড়ি কথা বলার অভ্যাসের জন্য যদি তোতলামি দেখা যায়, তাহলে কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুড়া করে 2 থেকে 3 গ্রাম পরিমাণে নিয়ে 1 চা-চামচ গাওয়া ঘিয়ে একটু ভেজে সেটাকে সারা দিনে 2-3 বার চেটে খাবেন, তোতলামি থাকবে না।

  6. লিভারের দোষ : লিভারের দোষ হলে সারাদেহে ফ্যাকাশে দেখায়, এ অবস্থা দেখা দিলে, শিশুদের  ক্ষেত্রে 5 থেকে 10 ফোটা পূর্ণ বয়স্কদের জন্য 1 চা-চামচ কাচা হলুদের রস একটু চিনি বা মধু মিশিয়ে নিয়মিত কিচুদিন খাবেন, লিভারের দোষ থাকবে না।

  7. মচকে গেলে : দেহেরে কোনও স্থান মচকে গিয়ে ব্যথা হলে বা ফুললে লবণ হলুদ আর চূর্ণ একসাথে মিশিয়ে গরম করে সেখানে লাগালে ব্যথা ও ফুলা কমে যায়।

  8. অ্যালার্জিতে : কোনও খাদ্য খেলে যদি দেহে অ্যালার্জি দেখা দেয অথ্যাৎ দেহ চুলকাতে থাকে, স্থানে-স্থানে লাল হয়ে ফুলে ওঠে ও  চাকা চাকা হয়ে যায়, তাহলে কাচা হলুদ শুকনা করে তার চার চামচ চূর্ণ, নিমপাতা চুর্ণ 1 চামচ ও শুকনা আমলকী চূর্ণ 3 চামচ এক সাথে মিশিয়ে একটি শিশিতে রেখে দিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এ ছুর্ণ মিশ্রণ 1 গ্রাম মাত্রায় পানিসহ খেলে অ্যালার্জি কমবে।

এছাড়াও হলুদের আরো অনেক গুনাবলী আছে। এখানে প্রয়োজনীয় কিছু গুনাবলী আলোচনা করা হল। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।

Sunday, April 13, 2014

বীর্য গাঢ় করার গাছান ঔষধ

বীর্য পাতলা  হলে যৌন মিলনের সময় খুব দ্রুত বীর্য পাত হয়। আর এতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনমালিণ্য সৃষ্টি হয়।  পুরুষদের মধ্যে প্রায় বেশি ভাগই বীর্য গাঢ় করার কথা ভাবে। ভাবে কিভাবে যৌন মিলন কে আরো দীর্ঘ করা যায়। আজ আপনারদের কে আমি কিছু গাছ গাছালীর গুনাবলীর নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনাদের কে এ সমস্যা থেকে রেহাই দিবে।

বীর্য গাঢ় : নিচে বীর্য গাঢ় করার জন্য বিভিন্ন গাছ-গাছালীর গুনাবলী আলোচনা করা হল।

কলমি শাক : কলমি শাক আমরা প্রায় খাই। এ শাকের গুনাবলী অনেক। কলমি শাকের রস 3 চামচ এবং অশ্বদন্ধার মূলের গুড়া (কবিরাজী দোকানে পাওয়া যায়) দেড় গ্রাম গরুর  দুধ এক কাপ দুধে মিশিয়ে রাতে শোবার সময় একবার করে খেলে বীর্য গাঢ় হবে এবং স্বপ্নদোষও বন্ধ হবে।

রাম তুলসী: রামতুলসী পাতার রস ধ্বজভঙ্গের খুবই উপকারী। মাত্র দুই সপ্তাহ নিয়মিত খেরে রোগীর স্বাভাবিক যৌন ক্ষমতা ফিরে আসে।

বেল : যৌবন উত্তেজনা উম্মচিত হয়ে তরুন যুবক কু-পথে চালিত হয়ে শুক্রক্ষয় করে থাকে। তিন থেকে চারটি বেলপাতা ভালোভাবে বেটে তার রস আধাকাপ ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে কিছুদিন খেলে শরীরে তীব্র কাম উত্তেজনা হ্রাস পায়। তবে একটা দীর্ঘদিন খাওয়া মোটেই উচিত নয়। দম্পত্য জীবনে বীপরীত ফল হতে পারে।

বীর্য গাঢ় করার গাছান ঔষুধ এর ভিডিটি দেখতে পারেন।


আলকুশী : যৌবনে নানা প্রকার কু-অভ্যাসের ফলে অতিরিক্ত শুক্র ক্ষয়ের জন্যে মহামূল্যবান বীর্য তরল হয়ে যায়। আলকুশীর পাকা বীজ চার থেকে পাচটি আগের রাতে এক কাপ গরম দুধে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে বীজগুলোর কোসা ছাড়িয়ে শিলে মিহি করে বেটে নিয়ে সামান্য গাওয়া গিয়ে বাটা বীজকে ভেজে নেয়া দরকার। তবে ভাজাটা খুব কড়াভাবে ভাজা চলবে না। ঠান্ডা হলে েএক চামচ মিসরীগুড়া অথবা সমপরিমান চিনি মিশিয়ে দিনে একবার করে খেলে তরল বীর্য ঘন হয়ে যাবে। অন্তত বিশদিন করে খেয়ে যেতে হবে এবং পথ্য হিসেবে গরুর দুধ 250 মি.লি. থেকে 500 মি.লি ঔষুধ চলাকালীন খেয়ে যেতে হবে।

শতমুলী : দেহে যৌবন আসার সাথে কু-অভ্যাসের ফলে বীর্য পাতলা হয়ে যায়। তাছাড়া কুচিন্তা এবং কুদৃশ্য ঐসব কুভাবনা চিন্তা দৃশ্য দেখে ঘুমের মধ্যে পাতলা বীর্য সহজেই বের হয়ে যায়। শতমূলীর রস 50 মিলি লিটার একটি স্টিলের পাত্রে রেখে তাতে 100 মিলিলিটার গাওয়া ঘিয়ে দিয়ে আচে পাক করতেহবে। এ ঘি তিন গ্রাম আধা কাপ সামান্য গরম দুধের সাথে মিশিয়ে সকালে বিকেলে খেলে বীর্য গাঢ় হবে। তবে নিজেকেও কিছুটা সংযত হতে হবার চেষ্টা করতে হবে।

লতাকস্তুরী : লতাকস্তুরী বীজের গুড়া দেড় গ্রাম, এক গ্লাস ঠান্ডা পানির সাথে খেলে ধীরে ধীরে শুক্র বেড়ে যায়। তবে নিয়মিত একমাস ধরে খাওয়া উচিত। জল-যমানী (ছিলি-হিন্টি) ঃ অনেকের প্রসাবের আগে অথবা পরে প্রস্রাবের সাথে বীর্য বেরিয়ে আসে। এ অবস্থায় এ গাছের পাতা নিয়ে থেতো করে আধাপোয়া পানিতে চটকে ছেকে নিন। তারপর তাতে অল্প চিনি মিশিয়ে শরবত করে খান, বীর্য গাঢ় হবে।

বকুল ফুল : অপুষ্টিজনিত কারণে শুক্রতরল্য দেখা দিলে পাকা বকুল ফলের সিরাপ প্রতিদিন দুপুরে আহারের পর 1 চা-চামচ নিয়ে ঠান্ডা পানি মিশিয়ে 2 থেকে 3 সপ্তাহ খাবেন বীর্য গাঢ় হবে।

রসুন :  শুক্রতারল্য দেখা দিলে সামান্য গরম দুধের সাথে 1 কোয়া বা 2 কোয়া রসুন বাটা মিশিয়ে খাবেন বীর্য গাঢ়।

শিমুল গাছ :  চারা শিমুলগাছের মুল থেতো করে বা েবটে 7 থেকে 10 গ্রাম নিয়ে তার সাথে একটু চিনি মিশিয়ে দু’বেলা খেলে বীর্য গাঢ় হবে। 

     উপরে যে কোন একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়মিত ওষুধ খেলে বীর্য গাঢ় হবে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিলন হবে অটুট, মনে আসবে শান্তি এবং টাকা বাঁচবে বাঁচবে সময়ও। ভালো লাগলে মতামত দিন। এ বিষয়ে আরও জানতে এই পিডিএফ বইটি ডাউনলোড করে পরতে পারে । ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন


Friday, April 4, 2014

বকুল ফুল দিয়ে রোগের চিকিৎসা

বকুল ফুল একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ফুল। বকুল গাছ বহুল পরিচিত। সাধারণত গ্রীষ্ককাল থেকে শুরু করে শরৎকাল পর্যন্ত এ গাছে ফুল ফোটে। দেখতে অনেক সুন্দর। বকুল গাছের ফলের গন্ধ খুবই সুন্দর। বকুল গাছের মূলের ছাল, কাঁচা ও পাকা ফল, ফুল এবং বীজ ওষুধে ব্যবহার করা হয়। বকুল ফুল এর পরিচিতি সম্পর্কে জানতে  আরো ক্লিক করুন।


বকুল দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা :


নিচে বকুল ফুল দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার কথা উল্লেখ করা হল।
পুরাতন আমাশয়ে : আমাশয় পুরাতন হয়ে গেছে, কিছুতেই সারতে চাইছে না। এ অবস্থায় প্রত্যেকদিন 5-6টি করে পাকা বকুল ফলের শাস খাবেন। আমাশয় সেরে যাবে।

শুক্রতারল্যে : অপুষ্টিজনিত কারণে শুক্রতারল্য দেখা দিলে, পাকা বকুল ফলের সিরাপ প্রতিদিন দুপুরে আহারের পর ১ চা-চামচ নিয়ে ঠান্ডা পানি মিশিয়ে 2 থেকে 3 সাপ্তাহ খাবেন। যথেষ্ট উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ।

দাঁত পড়ায় : কাঁচা বকুলের ফল প্রতিদিন 2-3 করে চিবিয়েখেলে কিছুদিনের মধ্যেই দাঁতের গোড়া শক্ত হয় ও দাঁত নড়া ও দাঁত পড়া বন্ধ হয়।

মাথা যন্ত্রণা হলে : শুকনা বকুল ফূল চুর্ণ করে, তাকে আটভাগ করে সে আটভাগের একভাগ ফিটকিরি চুর্ণ মিশিয়ে শিশিতে ভরে রাখুন। মাথার যন্ত্রণা হলে মাঝে মাঝে এর নস্যি নিবেন। মাথা ধরা ও মাথার যন্ত্রণা কমবে।

আশা করি উপরে কথা গুলো অনুসরণ করলে আপনাদের কাজে লাগবে বলে আমি আশাবাদী।

Wednesday, April 2, 2014

রসুন এর গুনাবলী

রসুন সম্পকে কে না জানে। আর রসুনের গুনাবলীর কথা বলে শেষ করা যায় না। রসুন এমন একটি উপাদান যা দ্বারা সব রোগের চিকিৎসা করা যায়। এটি আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। অস্থিচ্যুতি অথ্যাৎ হাড় ভেঙ্গে গেল, হাড় সরে গেলে বিভিন্ন চক্ষুরোগে, ক্রিমি রোগে, চোখের বিভিন্ন রোগে ও রাতকানায়, বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগে, বীর্য সম্বন্ধীয় রোগে, কুষ্ট রোগে, পালা জ্বরে, শ্বাস-শ্বাসজাতীয় রোগে, মুত্র সংক্রান্ত রোগে রসুন খুবেই উপকারী । রসুনের প্রকার ভেদ, বংশ এবং পরিচয় জানতে ক্লিক করুন।

রসুন

বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রসুন এর ব্যবহার :


নিচে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রসুন এর ব্যবহার

 বাতের বেদনায় : যে সকল বাত রোগ মাংসাশ্রিত, সেসব বাতগ্রস্থ রোগীকে রসুন 2 কোয়া বেটে গাওয়া ঘিয়ের সাথে খেতে দিন। ব্যথা- বেদন থাকবে না।

হাপানীতে : হাপানীর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়, দম যেন বদ্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়। সে লোক কে পাচ থেকে সাত টি রসুনের রস এককাপ ঠান্ডা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে দিন। কষ্টটা থাকবে না।

 পুরাতন জ্বরে : এ সব জ্বর বেশি বাড়ে না। ঘুসঘুসে জ্বর হয়, জ্বর কমে গেলেও পুরোপুরি ছেড়ে যায় না। এ সব অবস্থা দেখা দিলে 1 চা-চামচ গাওয়া গিয়ে নিয়ে তাতে পাচ থেকে সাত ফোটা রসুনের রস মিশিয়ে কয়েকদিন খেতে দিন। জ্বর একবারে ছেড়ে যাবে আর আসবে না ইনশাআল্লাহ।

শরীর ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকলে : খাবার অসুবিধা নেই, ঠিকমত খাওয়া ও বিশ্রাম করা সত্তেও গায়ে মাংস লাগছে না, ওজন কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় রসুন ২ কোয়া বেটে একপোয়া দুধের সাথে মিশিয়ে নিন,  দুধ গরম হবে। এবার রসুন বাটা মিশানো দুধ খান। কিছুদিনের মধ্যেই উপকার পাবেন।

যৌবন স্থায়ী রাখতে : পুরুষ বা নারী যদি যৌবন স্থায়ী রাখতে চান, তাহলে এক চামচ থেকে দু’চামচ আমলীর (কাচা রস নিয়ে) , তার সাথে এক কোয়া বা দু’কোয়া রসুন-বাটা মিশিয়ে খাবেন. যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হবে। যৌবন আরম্ভ হওয়া থেকে পারলে খুবই সুফল পাবেন।

 মাথা ধরায় : অনেক সময় সর্দি না হলেও বায়ু প্রকুপিত হয়ে অনেক সময় মাথা ধরে, এ অবস্থায়গ কয়েকদিন ২ ফোটা করে রসুনের নস্য নিন। মাথা ধরায় উপকার পাবেন।

 শুক্রতারল্যে : অনেক কারণেই শুক্রতারল্য দেখা দিতে পারে। এ সমস্যা দেখা দিলে, সামান্য গরম দুধের সাথে ১ কোয়া বা ২ কোয়া রসুন বাটা মিশিয়ে খাবেন। তার ফলে অস্থিতে শক্তি সঞ্চর হবে। শরীরের ক্ষয় বন্ধ হবে ও শুক্রতারল্য থাকবে না।

বিভিন্ন জাতের রসুনের ছবি দেখতে ক্লিক করুন।

রসুন