আহার -বিহারে অনিয়ম, বায়ুবর্ধক আহার মলমূত্রের বেগ ধারণ ভার
বহন ইত্যাদি কারণে বায়ু কুপিত কুঁচকি বা কুঁচার সন্ধিতে যায়। পরে সেখান থেকে অন্তুকোষে
গিয়ে ধমনীকে পীড়িত করে। কখনো বায়ু একটি ধমনীকে কখনো বা দুটি ধমনীকেই পীড়িত করে। একেই
বলে একশরা রোগ।
একশিরা রোগে লক্ষ্য রাখতে হয় যাতে ঘন ঘন জ্বর না আসে। তাছাড়া
প্রতিদিন কোষ্ঠ পরিষ্কার হওয়া আবশ্যক। জল বা জালীয় দ্রব্য বেশি খাওয়া চলবে না। যত কম
খাওয়া যায় ততই ভাল।
একশিরা ও কুরন্তু রোগে কোষ ঝুলে থাকা উচিত নয়। তাই জাঙ্গিয়া
সবসময়েই পরে থাকা কতর্ব্য।
চিকিৎসা-1
যব ও শ্বেত সরষে, সজনে ছালও শ্বেত সরষে বেটে প্রলেপ দিলে
কোষের বৃদ্ধি রোধ হয়।
চিকিৎসা-2
ত্রিফলার ক্কাথে গোমূত্র মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে কোষের
বৃদ্ধি কমতে থাকে।
চিকিৎসা-3
ধুতুরার পাতা ও ঢেঁড়ীফল আমানিতে পেষণ করে সেটা অল্প আঁচে
উত্তপ্ত করে প্রলেপ দিলে একশিরা ও কুরন্তু রোগ বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
চিকিৎসা-4
শ্বেত আকন্দের মূল কাঁজির সঙ্গে বেটে কোষে প্রলেপ লাগালে
কোষবৃদ্ধি রোধ হয়।
আধসেদ্ধ ভাত কন্ধ হাঁড়িতে জালসহ তিনদিন ঢেকে রেখে চতুর্থ
দিন সকালে জলটা ছেঁকে নিতে হবে। ওই জলটাই কাঁজি বা আমানি।
চিকিৎসা-5
বরাহ ক্রান্তা ও শকুনির বিষ্ঠা একসঙ্গে বেটে কোষে প্রলেপ দিয়ে রোগববৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
চিকিৎসা-6
সৈন্ধাব লবণ ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে একটি তামার পাত্রে করা রোদের
তাপে রেখে গরম করতে হবে। এরপর সৈন্ধব লবণ মিশ্রণটি তেজপাতায় ঘষ যে মল পাওয়া যাবে সেই
মল কয়েকদিন অন্তর একবার করে কোষে মালিশ করলে
একশিরা ও কুরন্তু রোগ অবশ্যই বিনষ্ট হবে।
চিকিৎসা-7
চালতার বীজ আদা একত্রে বেটে তারদ্বারা কয়েকদিন নিয়মের কোষে প্রলেপ লাগাতে হবে। তাতে একশিরা ও কুরন্তুরোগ
আরোগ্য হয়।
চিকিৎসা-8
ব্যাঙের রক্ত ও মাংস তিল তেল পাক করে তার দ্বারা কয়েক দিন
নিয়মিত কোষে প্রলেপ দিলে অথবা ঘি সহ নীলোৎপল বেটে প্রলেপ দিয়ে কুরভ রোগ বিনষ্ট হয়।
চিকিৎসা-9
কুনোব্যাঙ অর্থাৎ যে ব্যাঙ ঘরে বাস করে তার রক্ত নিয়ে কোষে
প্রলেপ দিলে অথবা কালোজিরা শুঁঠ, পিপুল ও গোলমরিচ একসঙ্গে বেটে তার সঙ্গে করঞ্জ রস
মিশিয়ে সেটা দিয়ে কোষে প্রলেপ দিয়ে একশিরা
ও কুরন্তু রোগ বিনষ্ট হয়।
চিকিৎসা-10
যষ্ঠিমধু, পদ্মকাষ্ঠ, রক্তচন্দন,বেণার মূল ও নীলোৎপল সমপরিমাণে
নিয়ে একত্রে দুধসহ বেটে প্রতিদিন দুবার করে
কোষে প্রলেপ লাগাতে হবে। তাতে কুরন্তের দাহ, শোথ ও বেদনা নষ্ট হবে।