Thursday, March 15, 2018

মাথা ব্যথা কমার যাদুকরি ঔষুধ দেখুন

মাথা থাকলে যে মাথা ব্যথা হবে এটাই স্বাভাবিক। সারাদিন কাজের পর বাড়ি এসে দেখলেন আপনার মাথাটি ততক্ষণে ধরে গিয়েছে।মাথা যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে, কিন্তু মাথা ব্যথা নিয়েই করে ফেলতে হল সব কাজ। অনেকে মাথা ব্যথা হলেই চটপট নানারকম পেনকিলার খেয়ে ফেলেন কোনো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই। যখন তখন পেনকিলার খেয়ে ফেলার ‘সুফল’ আজ না হলেও পরে একদিন বুঝতে পারবেন ঠিকই। আর আমাদের আজকালকার যা জীবনযাত্রার ধারা, তাতে স্ট্রেস, টেনশন তো এড়াতে পারবেনই না। মাইগ্রেন, সাইনাসও আজকাল ঘরে ঘরে। ফলে মাথা ধরাও থাকবে আপনারই সাথে। তাহলে কি উপায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক তারই কয়েকটা।

আদা

মাথা ব্যথার আরেকটা অমোঘ ওষুধ হল আদা যা মাথা ব্যথা থেকে আপনাকে প্রায় নিমেষে মুক্তি দিতে পারে। মস্তিষ্কের রক্তবাহের প্রদাহ কমিয়ে আদা আপনার মাথা ব্যথা কমায়। আর যেহেতু আদা পরিপাকে সাহায্য করে, তাই মাইগ্রেনের সময় যে বমিভাব হয়, আদা তাকেও কমায়। মাথা ব্যথা করলে আদা দিয়ে চা করে তো খেতে পারেনই, তাছাড়া সমান পরিমাণ আদা ও পাতিলেবুর রস একসাথে মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন।

মাথা ব্যথা সম্পকে আরো জানতে ভিডিও টি দেখতে পারেন


পিপারমেন্ট তেল

মাথা ব্যথা করলে কপালে পিপারমিন্ট তেল লাগিয়ে দেখুন। তাড়াতাড়ি আরাম পাবেন। পিপারমিন্ট তেলের সুন্দর গন্ধ মাথার জমে যাওয়া রক্তবাহে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। পিপারমিন্টের তেল ত্বককে ঠাণ্ডা করে রিফ্রেশ করে ও এতে থাকা মেন্থল কপালে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে মাথা ব্যথার থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া পেশীর সংকোচনে বাধা দিয়ে পিপারমিন্ট তেল মাথা ধরাকে কমিয়ে দেয়।

ম্যাগনেশিয়াম

মাথা ধরার একেবারে মোক্ষম ওষুধটি হল এই ম্যাগনেশিয়াম। সাইনাস, মাইগ্রেনের মতো সিরিয়াস মাথা ব্যথার অসুখ যদি আপনার থেকে থাকে, তাহলে সেসব থেকে কিন্তু মুক্তি মিলতে পারে এই ম্যাগনেশিয়ামেই। ম্যাগনেসিয়াম ট্যাবলেট তো খেতে পারেনই, পেনকিলারের থেকে সবদিক থেকেই তা নিরাপদ। ম্যাগনেসিয়াম ‘ব্রেন সিগনালিং’ যা ‘কর্টিকাল স্প্রেডিং ডিপ্রেশন’ নামে পরিচিত, যা মাথা ব্যথার সময় দেখার ও অনুভুতির তফাৎ ঘটিয়ে দেয়, তাকে আটকায়। ফলে মাথা ব্যথার সম্ভাবনা কমে। দিনে ২০০-৬০০ মিলিগ্রাম করে ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে পারলে দেখবেন ঘন ঘন মাথা ব্যথার প্রবণতা অনেক কমে গেছে। বেশী করে ফাইবার যুক্ত খাবার খান। আর বিনস, হোল গ্রেন জাতীয় খাবার, বাদাম, ব্রকোলি, ও সবুজ পাতাওয়ালা শাক খান। এছাড়া দুগ্ধজাত খাবার, চকোলেট, মাংস, কফিতেও ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

ভিটামিন বি


মস্তিষ্কে ‘ফিল গুড’ কেমিক্যাল সেরাটোনিনের অভাব হলে অনেক সময় মাইগ্রেন জাঁকিয়ে বসতে পারে। ভিটামিন বি মস্তিষ্কে এই সেরাটোনিন উৎপাদনে বড় ভূমিকা নেয়। ভিটামিন বি, যা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স নামে পরিচিত তা মাথায় রক্ত চলাচল বাড়ায়। ভিটামিন বি-২ মাইগ্রেনকেও কমায়। স্টাডি থেকে জানা গেছে দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন বি যদি আপনি খান তাহলে মাথা ব্যথার ক্ষেত্রে উপকার পেতে পারেন। তাছাড়া চীজ, আমন্ড, তিল ইত্যাদি ভিটামিন বি যুক্ত খাবার রোজ বেশী  করে খাবার অভ্যেস করুন।

দারচিনি

মাথা ধরা কমাতে দারচিনিকে ‘মিরাকল’ ওষুধ বলা হয়। মাথা ব্যথা  করলে দারচিনি গুঁড়ো করে জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে কপালে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পরে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মাথা ব্যথা জাস্ট ভ্যানিশ হয়ে গেছে।

ল্যাভেন্ডার তেল

ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের সুন্দর কিন্তু মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। মাইগ্রেনের ব্যথাতেও ল্যাভেন্ডার তেল উপকারী। তুলোয় অল্প  ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল নিয়ে নাকের কাছে এনে গন্ধ শুঁকুন। তাছাড়া ফুটন্ত জলে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে ভাপও নিতে পারেন। বা বাদাম তেলের সঙ্গে মিশিয়ে কপালে মালিশও করতে পারেন। দেখবেন কেমন আরাম পান

তুলসী

তুলসী অ্যানালজেসিক হিসেবে কাজ করে। তুলসীর তেল পেশীকে রিল্যাক্সে সাহায্য করে। টেনশন বা পেশী শক্ত হয়ে যদি মাথা ব্যথা করে আপনার, তাহলে তুলসীর তেল আপনার কাজে লাগবে। তিন বা চারটে তুলসীপাতা দিয়ে চা বানিয়ে খান। চিনির বদলে মধু দিন। দেখবেন ফল পাচ্ছেন। এছাড়া আপনি কাঁচা তুলসীপাতা শুধু চিবিয়েও খেতে পারেন। দেখবেন কাজ হচ্ছে।

বরফ

বরফ কিন্তু সমস্ত রকম প্রদাহকে দূর করে। তাছাড়া বরফের ঠাণ্ডাভাব ব্যথার অনুভুতিকে মরিয়ে দেয়। তাই মাথা ব্যথা করলে ফ্রিজ থেকে বরফ বার করে ন্যাকড়ায় বেঁধে কপালে ঘষুন। আরামও পাবেন। মাথা ব্যথাও ভ্যানিশ হয়ে যাবে।

Thursday, March 1, 2018

পেটের চর্বি কমার ব্যায়াম | এক মাসে পেটে চর্বি শেষ

পেটের অতিরিক্ত চর্বিতে পছন্দের জামাটাই পরতে পারছেন না? একটু কষ্ট করুন, আর রোজ সক্কাল সক্কাল উঠে না হয় এই ব্যায়ামগুলো করে ফেলুন। একমাসে দেখবেন ভুঁড়ি ভ্যানিশ!

একটু বেশী কয়েকদিন ভালো-মন্দ খেলেন কি রক্ষে নেই। আপনার তলপেটে জমতে শুরু করলো ফ্যাট। আর ভুঁড়ি যদি একবার উঁকি মারতে শুরু করে, তাহলেই কিন্তু বিপদ। ভাবুন তো, আপনার এক আলমারি ভর্তি অতো যে প্রিয় জামাকাপড়, একটাও পরতে পারবেন না। আর তাছাড়া বেঢপ ভুঁড়িতে কিন্তু আপনার স্টাইলেরও একদম বারোটা বেজে যাবে।

তাছাড়া ডায়েট কন্ট্রোল তো অনেক করলেন। এবার নাহয় ডায়েট কন্ট্রোলের সাথে সাথে হালকা ব্যায়াম করতেও শুরু করুন। তবেই না আপনার পেটের চর্বি কমবে তাড়াতাড়ি! তা কোন কোন ব্যায়াম করবেন পেটের চর্বি কমাতে বুঝতে পারছেন না তো? আজকের আর্টিকলে রইলো তারই খোঁজ-খবর।


১. ক্রাঞ্চেস
আপনার পেটের চর্বি যদি সহজে আর খুব তাড়াতাড়ি কমাতে চান, তাহলে ট্রাই করুন ক্রাঞ্চেস। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই দেখবেন আগের মতো স্লিম অ্যান্ড সেক্সি কোমর ফিরে পেয়েছেন।
পদ্ধতি

১. মাটিতে একটা ম্যাট পেতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা মাটিতে রাখুন। বা ছবির মতো ৯০ ডিগ্রি কোণ করেও রাখতে পারেন।

২. এবার হাত দুটো মাথার পেছনে ছবির মতো করে রাখুন। বা বুকের ওপরও রাখতে পারেন।

৩. এবার জোরে শ্বাস নিয়ে কোমরটাকে হালকা করে মাটি থেকে ওপরে তুলুন, তারপর নিশ্বাস ছেড়ে দিন।

৪. আবার নর্মাল পোজিশনে আসুন। জোরে শ্বাস নিয়ে একইভাবে আবার করুন।

৫. প্রথমে ১০ বার করুন। তারপর দুটো সেটে ১০ বার করে আস্তে আস্তে সময় বাড়ান।

রোজ সকালে উঠে নিয়ম করে মিনিট পাঁচেক সময় দিয়ে এই ক্রাঞ্চেস করুন। পেটে চাপ পড়ে দেখবেন সব ফ্যাট নিমেষে বার্ন হয়ে যাবে। আর বেশী তাড়াহুড়ো কিন্তু করবেন না। তাহলে ঘাড়ে চাপ পড়ে ব্যথা হতে পারে।

২. টুইস্ট ক্রাঞ্চেস
নর্মাল ক্রাঞ্চেসের পর আপনি কিন্তু এই টুইস্ট ক্রাঞ্চেস ট্রাই করতেই পারেন। এতেও কিন্তু পেটে চাপ পড়ে, ফলে পেটের চর্বি খুব তাড়াতাড়ি বার্ন হয়।

পদ্ধতি

১. মাটিতে শুয়ে আপনার হাত দুটো মাথার পেছনে রাখুন। নর্মাল ক্রাঞ্চের মতোই হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা মাটিতে রাখুন।

২. এবার ডান কাঁধ তুলে আস্তে আস্তে বাঁ দিকে ঘুরুন, এইসময় আপনার শরীরের বাঁ দিক যেন মাটিতেই থাকে। একইভাবে আবার বাঁ কাঁধ তুলে আস্তে করে ডান দিকে ঘুরুন। এভাবেই টানা ১০ বার করুন।

রোজ সকালে উঠে এটা দুটো সেটে ১০ বার করে করুন। আর হ্যাঁ, নিয়ম করে করতে কিন্তু ভুলবেন না।

৩. বাই-সাইকেল ব্যায়াম
পেটের চর্বি কমাতে চাইলে সাইক্লিং করুন। আর সাইক্লিং যদি না করতে পারেন, তাহলে ঘরে বসে করে ফেলুন এই বাই-সাইকেল ব্যায়াম। দেখবেন দারুণ উপকার পাবেন।

পদ্ধতি

১. মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর ক্রাঞ্চেসের সময় হাত যেমন করে রাখেন, সেরকম করেই হাত রাখুন।

২. এবার বাঁ পা-কে দূরে রেখে ডান হাঁটুকে বুকের কাছে আনুন। এরপর ডান পা-কে দূরে রেখে বাঁ হাঁটুকে বুকের কাছে আনুন। এইভাবে সাইক্লিং করার মতো করে যান।

৩. রোজ সকালে উঠে অন্য ব্যায়ামের সাথেই এই বাই-সাইকেল ব্যায়ামও মিনিট পাঁচেক করুন। ভুঁড়ি ভ্যানিশ হতে কিন্তু বেশী দেরী হবে না।

৪. রোলিং প্ল্যাঙ্ক ব্যায়াম

পেটের চর্বি কমিয়ে আপনার পেটকে যদি টোনড আর শেপে আনতে চান, তাহলে এই রোলিং প্ল্যাঙ্ক ট্রাই করুন।

পদ্ধতি

১. উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর হাঁটু আর কনুইয়ের ওপর ভর দিন।

২. ঘাড়কে শিরদাঁড়ার সাথে এক লাইনে রাখবেন। এরপর হাঁটুকে আস্তে আস্তে ওপরে তুলুন গোড়ালিতে ভর দিয়ে। হাঁটু দুটো কিন্তু একসাথে জুড়ে রাখবেন। ছবির মতো করে করুন।

৩. এটাই প্ল্যাঙ্ক পোজ। এই পোজিশনে ৩০ সেকেন্ড ধরে থাকুন।

এবার পালা রোলিং প্ল্যাঙ্কের।

১. পাশ ফিরে শুয়ে পড়ুন।

২. ডান কনুই আর ডান পায়ের ওপর ভর দিন। আপনার কনুই যেন আপনার কাঁধের সাথে লম্বভাবে থাকে। আর বাঁ পা যেন ডান পায়ের ওপরে থাকে।

৩. হাঁটু সোজা করে রাখবেন। আপনার শরীরের পেছনের অংশ যেন মাটিতে না ঠেকে।

৪. এভাবে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। আস্তে আস্তে সময় বাড়ান। চেষ্টা করুন ২ মিনিট থাকার। এরপর অন্যদিকের সাথেও ট্রাই করুন। রোজ নিয়ম করে করতে কিন্তু ভুলবেন না।

তবে এটা কিন্তু খুব কঠিন আর ভারী একটা ব্যায়াম। তাই সাবধানে করুন। আর খুব চাপ লাগলে করবেন না।

৫. বেন্ডিং সাইড টু সাইড
সহজে পেটের চর্বি কমাবেন? তাহলে এই সোজা ব্যায়ামটা আপনার মাস্ট ট্রাই হবেই।

পদ্ধতি

১. সোজা হয়ে হাত দুটো দু’দিকে রেখে দাঁড়ান।

২. পা মাটিতে সোজা করে রেখে শরীরকে ডান দিকে যতদূর সম্ভব বেঁকান, যতক্ষণ না পর্যন্ত কোমরে হালকা চাপ লাগে। আপনার ডান হাত যেন আপনার কোমরে থাকে। বাঁ হাত ওপরে তুলে রাখবেন ছবির মতো। এভাবে ১৫ সেকেন্ড থাকুন।

৩. আবার নর্মাল অবস্থায় এসে সোজা হয়ে দাঁড়ান। তারপর আবার বাঁ দিকে বেঁকুন। ১৫ সেকেন্ড থাকুন ওই অবস্থায়। আস্তে আস্তে সমস্যা না হলে কিন্তু সময় বাড়াতে পারেন অনায়াসে। আর রোজ নিয়ম করে না করলে কিন্তু কোনো উপকারই পাবেন না।

তাহলে বলে দিলাম পেটের চর্বি কমানোর জন্য দারুণ সহজ পাঁচটি ব্যায়াম। এবার কিন্তু কষ্ট করে সাত সকালে উঠে আপনাকে আর জিমে যেতে হবে না। নিজেকে খানিক সময় দিন। একমাসের মধ্যেই পেয়ে যাবেন আপনার স্বপ্নের স্লিম অ্যান্ড ট্রিম, টোনড পেট। আর তারপর? দেখবেন আপনার সেক্সি ফিগারের রহস্য সব্বাই জানতে চাইছে।