Monday, June 30, 2014

কাঁঠালের গুনাবলী

কাঁঠালকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পনস বলা হয়। অগ্রহয়ণ ও পৌষ মাসে এই গাছের ফুল ধরে। তারপর ফল হয়, জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে ফল পাকে। কাঁঠালের সারা গায়ে কাটা হয়। কাঁঠালের সুগন্ধ বের হয় পাকলে। কাঁঠালের পাতা মূল, কাঠ ও ফল ওষুধে ব্যবহার করা হয়।
কাঁঠালের গুনাবলী : নিচে কাঠালের গুনাবলী আলোচনা করা হল।
কাঁঠাল




  1. অরুচিতে: পাকা কাঁঠালের রস 2 থেকে 3 চা-চামচ নিয়ে ওর সাথে সামান্য চিনি এবং অল্প মরিচের গুড়া মিশিয়ে কয়েকদিন খেলে অরুচি থাকবে না। চিনি না দিয়ে 4-5 চামচ দুধ দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। 
  2. দূর্বলতা দেখা দিলে: অনেক সময় ক্ষয়জনিত কোন কারণে দূর্বলতা দেখা দেয়। যে কোন কারণে দূর্বলতা দেখা দিলে, কাঠালের রস নিংড়ে 5 থেকে 6 চা-চামচ করে সকালে ও বিকালে কয়েকদিন খেলে দূর্বলতা কেটে যাবে। 
  3. পেশীর বাতে: কাঁঠালের ভিতরের শক্ত দন্ডটি অর্থাত যাকে আমরা কাঁঠালের ভূতি বলি ‍ও ফেলে দিই। সেটি ছোট ছোট করে কেটে 4-5 গ্রাম মাত্রায় নিয়ে দুই কাপ পানি দিয়ে সিদ্ধ করুন। 2-3 কাপ অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে ছেকে নিন। এবার ওটা 4 ভাগ করে সারাদিনে চারবার খেলে উপকার হয়। 
এখানে কাঁঠালের গুনাবলী খুব সংক্ষেপে আলোচনা করা হল। কাঠালের পরিচয় ও এর জাত সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন এখানে। 

Thursday, June 12, 2014

আমের গুনাবলী

এই গ্রীষ্মের দিনে আম খেতে কতই না মজা। আরো মজা হতো যদি আমরা সকলেই আম এর গুনাবলী সম্পর্কে জানতাম। আম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। আজ আপনাদের আম এর গুনাবলী সম্পর্কে কিছু তথ্য দিব আশা করি সকলের কাজে লাগবে।


আম এমনিতেই ঠান্ডা। তবে বর্তমানে কৃত্রিমভাবে অর্থ্যাৎ কাররবাইড দ্বারা সব রকম ফল পাকানো হয় বলে, ঠান্ডা কথাটা বলা চলে না। পাকা আম খেলে ফোড়া হয় না। কিন্তু আমরা বাজারে যে আম দেখি সেটা নামেই, আসলে কাচা আমকেই জোর করে পাকানো হয়। সেজন্য যাদের দেহে পিত্তবাহুল্য, তারা এ আম খেলে খুব স্বাভাবিক কারণেই ফোড় হবে দেহে। কিন্তু পৃকৃত পাকা আম খেলে তা হয় না।



আমের গুনাবলী : আমের গুনাবলী নিচে আলোচনা করা হল।

  1. বমিভাব হলে: প্রায়ই যাদের বমি-বমি ভাব দেখা যায়, তারা তিন থেকে চারটি আমপাতা পানিতে সিদ্ধ করে সে পানিটুকু সারাদিনে একটু একটু করে খাবেন।

  2. আমাশয় রোগে: কচি আমপাতা ও কচি জামপাতার রস এক সাথে মিশিয়ে 2-3 চা-চাম একটু গরম করে খান। আমাশয় আরোগ্য হবে।

  3. রক্ত আমাশয়ে: আম গাছের ছাল পরিষ্কার করে ঘুয়ে রস বের করে সে রস এক বা দু চা-চামচ আধাপোয়া ছাগরের দুধের সাথে মিশিয়ে খাবেন। যদি ইচ্ছে করেন একটু চিনি বা মধু মিশিয়ে নিবেন।

  4. পা-ফাটা রোাগে: যাদের পায়ের গোড়ালি ফাটে বিশেষত শীতকালে, তারা ফাটা শুরু হলেই সে ফাটায় আম গাছের আঠা দিন। আবার এর সাথে যদি কিছু ধুনার ‍গুড়া মিশিয়ে নেন, তাহলে আরও ভালো হয়।

  5. অকালে চুল পাকা শুরু হলে: আমের কুশি 5-6 গ্রাম পরিমাণ নিয়ে থেতো করে ও 2-3টি আমলকী একটু থেতো করে 10-12 চামচ পানিতে ভিজিয়ে লোহার পাত্রে  5-6 ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর ছেকে নিয়ে সে পানি চুলে লাগালে চুল পাকা কমে যাবে।

  6. অকালে চুল পাকা শুরু হলে: আমের কুশি অর্থ্যাৎ কচি আমের আঠির শাষ একটু থেতো করে পানিতে 5-6 ঘন্টা ভিজিয়ে ছেকে নিন। তারপর সে পানি শুকনা চুলের গোড়ায় ঘাষে লাগালে চুল উঠা অনেক  কমে যাবে। মাথায় কিন্তু তেল মাখা চলবে না।

উপরে আম এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু গুনাবলী আলোচনা করা হয়েছে। আম এর আরো অনেক গুনাবলী রয়েছে। আম সম্পর্কে

আরো জানতে ক্লিক করুন ।